নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
গত মৌসুমে নিজেদের ঘরোয়া দুই লিগ জার্মান বুন্দেসলিগা এবং ডিএফভি পোকালের ট্রফি ঘরে তোলার পর বায়ার্ন মিউনিখ গত মাসে চ্যাম্পিয়ান্স লিগের শিরোপা জয় করে ট্রেবল জিতে। এবার তারা সুপার কাপের ট্রফিও ঘরে তুলল। বৃহস্পতিবার রাতে হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেরা বায়ার্ন ২-১ গোলে ইউরোপা লিগ চ্যাম্পিয়ন সেভিয়াকে হারিয়ে মৌসুমের চতুর্থ শিরোপা জিতে নেয়। প্রথমার্ধের খেলা ১-১ ব্যবধানে শেষ হলে বিজয়ীর হাসি হাসতে বায়ার্নকে ম্যাচের অতিরিক্ত সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। সেভিয়ার পক্ষে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লুকাস ওকাম্পোস হুলেন প্রথমে গোল করলে বায়ার্নের হয়ে দু’গোল করেন জার্মান মিডফিল্ডার লিয়ন গোরেৎস্কা ও স্প্যানিশ ডিফেন্ডার মার্তিনেজ। প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের বিরতির পর গত মাসে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতা মাঠে ফিরলেও স্টেডিয়ামে দর্শক প্রবেশের অনুমতি ছিল না। তবে বায়ার্ন-সেভিয়া ম্যাচে প্রায় ২০ হাজার দর্শককে মাঠে বসে খেলার সুযোগ দেয় উয়েফা। যদিও হাঙ্গেরিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নতুন করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ।
পুরো ম্যাচে আক্রমণাত্নক ফুটবল উপহার দিলেও বায়ার্ন মিউনিখ পিছিয়ে পড়েছিল শুরুতেই। ১৩ মিনিটে সেভিয়াকে এগিয়ে নেন ওকাম্পোস। এসময় ইভান রাকিতিচকে নিজেদের ডি-বক্সের মধ্যে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন ডেভিড আলাবা। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজালের ঠান্ডা মাথায় স্পট-কিক থেকে গড়ানো শটে বায়ার্ন গোলরক্ষক মানুয়েল নয়্যারকে পরাস্ত করেন ওকাম্পোস (১-০)। পিছিয়ে পড়ে ম্যাচ ফিরতে আপ্রাণ চেষ্টা করে বায়ার্ন। তারা একের পর এক আক্রমণে সেভিয়ার রক্ষণভাগকে ব্যতিব্যস্ত রাখলেও গোলের দেখা পাচ্ছিলো না। অবশেষে সাফল্যের দেখা মেলে। গোল পায় বায়ার্ন। ম্যাচের ৩৪ মিনিটে গোছানো আক্রমণে গোল শোধ করে চ্যাম্পিয়ান্স লিগের শিরোপাজয়ীরা। টমাস মুলারের ক্রস পা দিয়ে নামিয়ে রবার্ত লেভানদোভস্কি বল দেন লিয়ন গোরেৎস্কাকে। ডান পায়ের দারুণ ভলিতে লক্ষ্যভেদ করেন গোরেৎস্কা (১-১)। সমতা নিয়ে দু’দল বিরতিতে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলো সেভিয়া। ম্যাচের ৪৬ মিনিটে বামপ্রান্ত থেকে সুসোর ক্রসে পা ছুঁইয়েছিলেন নেদারল্যান্ডসের স্ট্রাইকার লুক ডি ইয়ং। তবে অসাধারণ দক্ষতায় বল রুখে দেন নয়্যার। ঘুরে দাঁড়িয়ে বায়ার্ন আক্রমণে গিয়ে ম্যাচের ৫১ ও ৬৩ মিনিটে দু’বার সেভিয়ার জালে বল পাঠায়। কিন্তু প্রথমে পোলিশ স্ট্রাইকার লেভানদোভস্কির গোল অফসাইডের কারণে এবং পরে জার্মান উইঙ্গার লেরয় সানের গোল ফাউলের কারণে বাতিল করেন রেফারি।
৫৮ মিনিটেও সুযোগ নষ্ট করে বায়ার্ন। এসময় বামপ্রান্ত থেকে সার্জ ন্যাব্রির শট গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনো ফিরিয়ে দেয়ার পর বল পান সানে। কিন্তু তার শট প্রতিহত হয় সেভিয়ার রক্ষণ দেয়ালে। এরপর আরো দু’টি সুযোগ নষ্ট হলেও গোলের অপেক্ষা বাড়ে বায়ার্নের। ৬৬ মিনিটে আলাবার ফ্রি-কিক ক্রসবারের উপর দিয়ে চলে যায়। ৭৬ মিনিটে লুকাস হার্নান্দেজের ভলিও লক্ষ্যে থাকেনি। উল্টো ৮৭ মিনিটে জয়স‚চক গোল প্রায় পেতে বসেছিল সেভিয়া। পাল্টা আক্রমণে নয়্যারকে একা পেয়ে গিয়েছিলেন সেভিয়ার মরক্কোর বদলি স্ট্রাইকার ইউসুফ এন-নেসিরি। তার বাঁম পায়ের শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ফিরিয়ে দেন নয়্যার। ৯০ মিনিটে এন-নেসিরি মাঝমাঠ থেকে শট নিলেও বিপদ হয়নি বায়ার্নের। ফলে ১-১ গোলে অমিমাংসিতভাবে শেষ হয় নির্ধারিত সময়ের খেলা।
অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে (৯২ মিনিট) এন-নেসিরিকে ফের হতাশ করেন নয়্যার। তার মাটি কামড়ানো শট নয়্যারের পায়ে লেগে বাধা পায়। ৯৯ মিনিটে মাঠে প্রবেশ করে পাঁচ মিনিটের মধ্যে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন মার্তিনেজ। সতীর্থের কর্নার থেকে বল পেয়ে আলাবা শট নিলে তা রুখে দেন বোনো। কিন্তু পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হন তিনি। নিখুঁত হেডে গোল করে বায়ার্নকে আনন্দে ভাসান মার্তিনেজ (২-১)। এরপর দলকে সমতায় ফেরানোর সুযোগ এসেছিল সেভিয়ার সার্জিও এসকুদেরোর সামনে। ব্যবধান বাড়ানোরও বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিলেন লেভানদোভস্কি-মুলাররা। তবে কেউই সফলতা পাননি। ফলে ২-১ ব্যবধানে ম্যাচ জিতেই মাঠ ছাড়ে বায়ার্ন।
দ্বিতীয়বারের মতো এ আসরে চ্যাম্পিয়ন হলো জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ। এর আগে ২০১৩ সালে শিরোপা জিতেছিল তারা। অন্যদিকে, ২০০৬ সালে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এ নিয়ে টানা পাঁচবার সুপার কাপের ফাইনালে হারল স্প্যানিশ ক্লাব সেভিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।