মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাকিস্তানের বিরোধী দল পিএমএল-এন এর শীর্ষ নেতা নওয়াজ শরীফ বৃহস্পতিবার তার দলের সদস্যদের জন্য সামরিক কর্মকর্তা বা সংস্থার সাথে ভবিষ্যতে দলীয় নেতৃত্বের পূর্ব অনুমতি ব্যতিরেকে বৈঠকে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। সেনাবাহিনীর সাথে গোপন যোগাযোগ বজায় রাখার জন্য দলের ভাবমূর্তিতে যে ক্ষতি হয়েছে, তা লাঘবেই নওয়াজ এই পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
পাক সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার সঙ্গে পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)-এর সিনিয়র নেতা ও সিন্ধ প্রদেশের সাবেক গভর্নর মহম্মদ জুবারির সম্প্রতি দু’টি বৈঠক হয়। নওয়াজ শরিফ ও শরিফ-কন্যা মরয়ম নওয়াজের রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়েই মূলত দু’দিন ধরে তাদের কথা হয়েছে। পাকিস্তান সেনার মুখপাত্র মেজর জেনারেল বাবর ইফতিখার এই খবরের সত্যতা স্বীকার করে বিবৃতি দিলে, অস্বস্তিতে পড়ে পাকিস্তানের প্রধান বিরোধী দল, পিএমএল-এন।
পাকিস্তানের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি সেনার এই তৎপরতা কিন্তু ভালো চোখে নেয়নি। রোববার প্রকাশ্যেই পাক সামরিক নেতৃত্বের এই ভূমিকার বিরোধিতা করে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের রাজনীতি ও নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছে পাকসেনা। এর পরেই নওয়াজ শরিফ বৃহস্পতিবার তার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে ট্যুইট করেন। তিনি লেখেন, ‘জাতীয় সুরক্ষা বা সাংবিধানিক প্রয়োজনীয়তা অনুসারে ভবিষ্যতে যদি কখনও সামরিক নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের প্রয়োজন পড়ে, সে ক্ষেত্রে দলীয় নেতৃত্বের অনুমোদন থাকতে হবে।’ বৈঠকের বিষয়বস্তু গোপন না-করে, তা জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে বলেও তিনি কথা দিয়েছেন।
ক্ষুব্ধ নওয়াজ শরিফ বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনাবলি ফের প্রমাণ করে দিল পর্দার আড়ালে কী করে কিছু বৈঠক হচ্ছে। অন্যরা সেগুলি প্রকাশ্যে এনে নিজেদের পছন্দ মতো রং চড়াচ্ছে।’ পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘এ ধরনের খেলা এ বার বন্ধ হওয়া উচিত।’ এর পরেই তিনি যোগ করেন, ‘আমি আমার দলকে নির্দেশ দিচ্ছি, দলের কেউ একা, ব্যক্তিগত ভাবে বা সমষ্টিগত ভাবে সেনা বা গোয়েন্দা সংস্থার কোনও প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন না।’
এর আগে গত রোববার ভিডিও লিংকের মাধ্যমে লন্ডন থেকে অল পার্টি কনফারেন্সে যোগ দিয়েছিলেন নওয়াজ শরিফ। বৈঠকে পাকসেনার প্রতি বিষোদ্গার করেন শরিফ। তিনি বলেন, দেশের রাজনীতিতে পাক সেনাবাহিনীর অযাচিত হস্তক্ষেপ এ বার বন্ধ হওয়া উচিত। ভবিষ্যতে পাকিস্তানের নির্বাচনে সেনা বা গোয়েন্দা সংস্থার কোনও ভূমিকা থাকা উচিত নয় বলে তিনি মনে করেন।
প্রসঙ্গত, অ্যাভেনফিল্ড সম্পত্তি মামলায় ২০১৮ সালের ৬ জুলাই নওয়াজ শরিফ, তার কন্যা মরয়ম নওয়াজ ও জামাই মহম্মদ সফদার দোষীসাব্যস্ত হন। তার আগেই ২০১৭ সালে নওয়াজ শরিফকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে আল-আজিজিয়া স্টিল মিল মামলায় শরিফ সাত বছরের জেল হয়। কিছুদিন জেলের চার দেয়ালে কাটিয়ে তিনি লন্ডনে যান চিকিৎসা করাতে। শারীরিক অসুস্থতার কারণেই আদালত তাকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিয়ে লন্ডনে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিল। আট সপ্তাহের মধ্যে তাকে দেশে ফিরতে বলা হয়েছিল। কিন্তু, শারীরিক জটিলতার অজুহাতে তিনি আর ফিরে যাননি। সূত্র: ডন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।