ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজের সাবেক ভিপি ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মোঃ তাওফিক হোসেন পুচ্চি, সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এমপির এপিএস ফোয়াদসহ ১৩ জনের নামে হত্যার চেষ্টা ও চাঁদাবাজির মামলা করেছে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায়, মামলা নং ৫৫, তারিখ : ১৯/০৯/২০২০ইং। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে ফরিদপুরের সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজী , ভূমিদস্যু, ছিনতাইকারী, রাহাজানী প্রকৃতির লোক ও ফরিদপুরের সেই আতংকিত আলোচিত হাতুরী বাহিনী ও হেলমেট বাহিনী বিগত ২৪/০৫/২০১৮নং তারিখে গণপূর্ত বিভাগ ও পাবলিক হেলথ-এ ২টি টেন্ডার দিয়ে সর্বনি¤œ দরদাতা হয়ে ২টি কাজ পায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তাওফিক হোসেন পুচ্চি। এপিএস ফোয়াদের অনুমতি ছাড়া কেন টেন্ডার জমা দিলো এ কারণে গত ২৪/০৫/২০১৮ইং তারিখে পুচ্চি ঢাকা যাওয়ার পথে ফরিদপুরের ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ে পুচ্চিকে পেয়ে পথ রোধ করে সন্ত্রাসী বাহিনীরা এবং দুই লক্ষ চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় পুচ্চিকে পিস্তল দিয়ে ভয় দেখানো হয় এবং দেশিয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। উল্লেখ্য তখন ফরিদপুরের শুধুমাত্র এলজিইডি বাদে সকল দপ্তরের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করতো এপিএস ফোয়াদ নিজে এবং তার হেলমেট ও হাতুরী বাহিনী।

এ বিষয়ে মামলারবাদী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তাওফিক হোসেন পুচ্চি জানান, তখন মামলা করতে পারি নাই। তার কারণ ফরিদপুরের মন্ত্রী খোন্দকার মোশাররফ সাহেবের ক্ষমতা ছিলো এবং তার এপিএস ছিলো ফোয়াদ। মামনীয় প্রধানমন্ত্রী চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজী ও হাইব্রীডদের বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান চালানোর পরিপ্রেক্ষিতে আজ আমি প্রায় ২ বছর পর মামলা করতে পেরেছি। আমি আসা করি ন্যায় বিচার পাবো। অন্যান্য আসামীদের মধ্যে রয়েছে সদ্য বহিস্কৃত শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি খোন্দকার লেভীসহ হাইব্রীড ১৩ জন নেতা।বর্তমানে লেভী মানি লন্ডারিং মামলায় জেলে আর ফোয়াদসহ বাকী সকলে পলাতক।