বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দিন দিন বাড়ছে দখলের মাত্রা। দখলদারদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মলমূত্র ও বর্জ্যে দূষিত হয়ে পড়েছে নদীর পানি। সবমিলে দখল দূষণে অসহায়ত্বের দৃশ্য দেখা যাবে কুমিল্লা শহরের ইতিহাস ঐতিহ্যের ধারক পুরনো গোমতী নদীর চার কিলোমিটারের দুইপাড়ে। পুরনো গোমতী গিলতে গিলতে এটিকে সরু খালে পরিণত করেছে নদী খেকোরা।
গতকাল মঙ্গলবার বিশ^ নদী দিবসে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কুমিল্লা শাখার নেতৃবৃন্দ মেঘনা মোহনায় মিলিত হওয়া গোমতীর বাঁধ, সড়ক ও গোমতী তীরের মাটি কাটা বন্ধ এবং কুমিল্লা শহরের উত্তরপ্রান্ত দিয়ে প্রবাহিত কাপ্তানবাজার থেকে শুভপুর পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার দীর্ঘ পুরনো গোমতী নদীর দুইপাড় দখল ও দূষণমুক্ত করার দাবী জানিয়ে পরিবেশ অধিদফতর-কুমিল্লার উপপরিচালক শওকত আর কলির কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। কেবল বাপা-ই নয়, গত দুই যুগের বেশি সময় ধরে কুমিল্লার সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ পরিবেশপ্রেমি জনগণ পুরনো গোমতী দখল-দূষণমুক্ত করতে স্ব স্ব অবস্থান থেকে দাবি জানিয়ে আসছেন।
গত বছরের ডিসেম্বরে নদ-নদী অবৈধ দখলমুক্ত করতে দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে নির্দেশ দেয়ার পর প্রসাশনের উদ্যোগে সারাদেশেই বড় ধরনের উচ্ছেদাভিযান শুরু হয়। কুমিল্লার জেলা প্রশাসন শহর পেরিয়ে প্রবাহমান গোমতী নদীর দুইপাড় ও বেঁড়িবাধের ওপর অবৈধ ১৩৯জন দখলদারের গড়ে তোলা পাঁচশতাধিক স্থাপনা গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর বুলড্রোজারে গুড়িয়ে দেন।
ওই সময়ে কুমিল্লা শহরবাসী আশায় বুক বেঁধেছিল কুমিল্লা জেলা প্রশাসন শহরের উত্তরপ্রান্তের পুরনো গোমতী নদী (মরা গোমতী নদী) দখলদারদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদাভিযান করবেন। কিন্ত না, হলো না। আর পুরনো গোমতীতে উচ্ছেদাভিযান আদৌ হবে কিনা এ নিয়ে দ্বিধাদ্ব›েদ্ব শহরবাসী। কেননা, ২০০৩ সাল থেকে অবৈধ দখলদারদের নদীর জায়গা ছেড়ে দিতে প্রশাসন থেকে অন্তত দশবার নোটিশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু দখলদাররা প্রশাসনের নোটিশের তোয়াক্কাই করে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।