Inqilab Logo

রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

গোমতী তীরের মাটি কেটে নেয়ার অভিযোগ : হুমকিতে রেড়িবাঁধ

তিতাস (কুমিল্লা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০৪ এএম

কুমিল্লার তিতাসে গোমতী নদীর ২ তীরে অবৈধভাবে মাটি কাটায় হুমকিতে পড়েছে নদী তীর সংলগ্ন বেড়িবাঁধ। যে কোনো সময় বেড়িবাঁধটি ধসে যেতে পারে এমন আশঙ্কায় বেড়িবাঁধের আশপাশের লোকজন চরম দুশ্চিন্তায় আছেন। এ মাটি কাটার অভিযোগ উঠেছে এক প্রভাবশালী চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রায়পুর থেকে আসমানিয়া-জাহাপুর-মুরাদনগর বেড়িবাঁধটি ১৯৮৮ সালে গোমতী নদীর তীর ঘেষে নির্মিত হয়েছে। বর্র্তমানে এটি পাকা সড়কে রূপান্তরিত হওয়ায় প্রতিদিন তিতাস ও মুরাদনগর উপজেলার হাজার হাজার মানুষ আসা যাওয়া করে। একই সঙ্গে নদীপাড়ের বেড়িবাঁধটি এ অঞ্চলের মানুষদের ঝড় ঝাপ্টা থেকেও রক্ষা করে। কিন্তু সেই নদী পাড় থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে ন্যাশনাল ব্রিকস ম্যানুফ্যাকচার (এনবিএম) ব্রিকফিল্ডে। তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের জগতপুর এলাকার ওই ব্রিকফিল্ডের মালিক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মোল্লা। চেয়ারম্যানের ভয়ে এখানে কেউ মুখ খোলে কথা বলে না।
ন্যাশনাল ব্রিকস্ ম্যানুফ্যাকচারের লোকজন ভেকু মেশিন দিয়ে গোমতী নদী তীরের মাটি কেটে ট্রাক্টর দিয়ে ব্রিকফিল্ডে নিয়ে যাচ্ছে। সাংবাদিকদের ছবি তুলতে দেখে কয়েকজন লোক এসে বলে, ছবি তুলে লাভ নেই, কোনো কিছুই করতে পারবেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক লোকজন জানান, নদী ও বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকায় তীর খনন করে মাটি কেটে ইটখল্লায় নিয়ে যাচ্ছেন ভিটিকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মোল্লা। গত কয়েকদিন ধরে এভাবে মাটি কাটছেন তিনি। ক্ষমতাসীন দলের চেয়ারম্যান হওয়ায় কেউ বাধা দেয়ার সাহস পাচ্ছে না। এতে এই বেড়িবাঁধটি যে কোনো সময় ভেঙে যেতে পারে। প্রশাসনের লোকজনকে জানালে তারা এসে দেখে চলে যায়।
ইটভাটার মালিক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মোল্লা বলেন, আমি ব্যাক্তি মালিকানা জমি থেকে মাটি কাটছি। প্রশাসনের লোকজন এসে দেখে গেছে। কারা দেখে গেছে প্রশ্ন করলে বলেন, ভূমি অফিসের লোকজন এসে কাগজপত্র দেখেছে।
ভূমি অফিসের তহসিলদার মো. ফারুক হোসেন বলেন, চেয়ারম্যান সাহেব বলছে ব্যাক্তিমালিকানা জমি থেকে মাটি কাটছে এবং একটি কাগজও (পর্চা) দিয়েছে। এখন কোনো জমি থেকে কাটছে আর কোনো জমির পর্চা দিয়েছে সার্ভেয়ারের মাপ ছাড়া বলতে পারবো না। তার পরও মাটিকাটার খবর পেয়ে বন্ধ করার জন্য লোক পাঠিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাম্মৎ রাশেদা আক্তার বলেন, সাংবাদিকের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারি। চেয়ারম্যানকে বলেছি মাটি কাটা বন্ধ করতে, না করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ