মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিশ্বব্যাপী নানা ধরনের জালিয়াতি এবং কেলেঙ্কারীর খবর জানা সত্তে¡ও প্রতারকদের কয়েক মিলিয়ন ডলার লেনদেনের অনুমতি দিয়েছে এইচএসবিসি ব্যাংক। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত কিছু গোপন ফাইল ফাঁস হয়েছে। ব্রিটেনের বৃহত্তম এই ব্যাংকটি ২০১৩ ও ২০১৪ সালে হংকংয়ে বিভিন্ন মার্কিন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যবসার মাধ্যমে এইচইসবিসির বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে অর্থ স্থানান্তর করেছিল। ৮০ মিলিয়ন ডলারের ওই প্রতারণায় এই ব্যাংকের ভ‚মিকার কথা সম্প্রতি ফাঁস হয়েছে। ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ফাঁস হওয়া ‘সাসপিসাস অ্যাক্টিভিটি রিপোর্টস’-এর ভিত্তিতে এসব তথ্য জানা গেছে। লিক হওয়া ওই প্রতিবেদন ফিনসেন ফাইল নামে পরিচিত। সব মিলিয়ে ওই নথিতে ২০০০ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দুই ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ লেনদেনের তথ্য আছে। এই তহবিলগুলোকে সন্দেহজনক বলে চিহ্নিত করেছিল আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ইন্টারনাল কমপ্লায়েন্স ডিপার্টমেন্ট। এই নথিগুলোতে যেসব ব্যাংকের নাম এসেছে সেগুলো হলো, এইচএসবিসি হোল্ডিংস পিএলসি, জেপিমর্গান চেস অ্যান্ড কোম্পানি, ডয়েচে ব্যাংক এজি, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক এবং নিউ ইয়র্ক মেলন কর্পোরেশন। ফিনসেন ফাইলের ২ হাজার ৬৫৭টি ডকুমেন্ট ফাঁস হয়েছে। সেখানে ২ হাজার একশোটি কার্যক্রমকে সন্দেহজনক বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এসব সন্দেহজনক লেনদেনের প্রতিবেদনগুলো সরাসরি অপরাধের প্রমাণ নয়। বরং ব্যাংকগুলো কোনো গ্রাহককে সন্দেহ হলে সেসব নথি কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে থাকে। আইন অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোকে জানতে হবে যে, তাদের গ্রাহক কারা। যদি তারা কোনো অপরাধের প্রমাণ পায় তবে তাৎক্ষণিকভাবেই নগদ লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া উচিত। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে ব্যাংকগুলোর জমা দেওয়া গোপনীয় নথির উদ্ধৃতি দিয়ে বাজফিড ও অন্যান্য গণমাধ্যম বিষয়টি নিয়ে রোববার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের ‘ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম এনফোর্সমেন্ট নেটওয়াক’ (ফিনসেন) এর কাছে ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এসব নথি জমা দিয়েছে। এদিকে ফিনসেন বলছে, লিক হওয়া এসব নথি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। এমনকি তদন্ত কাজ এবং যারা এসব রিপোর্ট জমা দিয়েছে তাদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে হুমকি তৈরি করতে পারে। বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।