পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে আবারো মাঠে নামছে সবকটি প্রধান বিরোধী দল। সেই জোটে নওয়াজ শরিফ এবং বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিও আছেন। দেশটির সরকার যখন অর্থনীতি স্থিতিশীল করতে প্রাণপন লড়াই করছে, এমন পরিস্থিতিতে এ ধরনের বিক্ষোভ রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
গতকাল রোববার ২০ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলো একজোট হয়ে সারা দিন আলোচনার টেবিলে সময় কাটান। সেই সম্মেলন থেকেই প্রধানমন্ত্রী
ইমরান খানের পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে। উক্ত সম্মেলনে ঠিক হয়েছে, বিরোধী দলগুলো রাজনীতিতে সেনা প্রভাব ও প্রাধান্যের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে আন্দোলন করবে। আগামী মাস থেকে শুরু হবে এ আন্দোলন।
এই বিরোধী জোটের নাম হলো পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট। তাতে নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) যেমন আছে, তেমনই আছে পাকিস্তান পিপলস পার্টি। নওয়াজ শরিফ বৈঠকে ছিলেন না। কারণ তিনি গত নভেম্বর থেকে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে। তিনি ভিডিওর মাধ্যমে ভাষণ দেন। তবে বৈঠকে ছিলেন তার মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ এবং প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি।
বিরোধীদের দাবি, পাকিস্তানের রাজনীতিতে সেনার প্রভাব চলবে না। নতুন দায়বদ্ধতা আইন আনতে হবে এবং
ইমরান খানকে পদত্যাগ করতে হবে। ইমরানের ইস্তফা চাওয়ার কারণ, বিরোধীদের দাবি, তিনি নির্বাচনে জালিয়াতি করে জিতেছিলেন। আর সেই জালিয়াতিতে সাহায্য করেছিল সেনাবাহিনী।
পাকিস্তানের রাজনীতিতে সেনা প্রভাব নতুন কোনো কথা নয়। এর আগেও বহুবার সেনা এবং আইএসআই-এর প্রভাব নিয়ে বহু খবর হয়েছে। বিরোধীরা সোচ্চার হয়েছেন। বার বার অভিযোগ উঠেছে, জনগণের ভোটে জিতে সরকার গঠন করলেও ক্ষমতার আসল চাবিকাঠি থাকে সেনার হাতে। নির্বাচিত সরকারকেও তাদের কথা শুনে চলতে হয়। শেষ কথা সেনাই বলে।
নওয়াজ বলেছেন, ''প্রধানমন্ত্রীর পদে ইমরান অযোগ্য। তাকে সেনাবাহিনীই প্রধানমন্ত্রী করেছে এবং দেশ ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে। তাই আমরা আগে সেনার কবল থেকে দেশকে উদ্ধার করতে চাই।''
বিলাওয়ালের বক্তব্য, রাজনীতিতে সেনার কোনো ভূমিকা থাকবে না। সূত্র : ডয়চে ভেলে