বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুতুবদিয়ায় জোয়ারের পানি আর বালি উত্তোলনের ফলে ঝাউ বাগান চলে যাচ্ছে সাগরে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে সবুজ বেষ্টনি প্রকল্প ছাড়াও বিভিন্নভাবে দ্বীপের পশ্চিম সৈকত জুড়ে ঝাউবাগান তৈরির চেষ্টা দীর্ঘ দিনের। ১৯৯৬ থেকে অন্তত ৫ কিলোমিটার ঝাউবাগান গড়ে তোলা হয়। এর মধ্যে অধিকাংশই চারা জোয়ারে ঢেউয়ে উপড়ে যায়।
স্থানীয় বন বিভাগ নানা উদ্যোগ নিলেও তা রক্ষা করতে পারছে না। জনবল ঘাটতি, গাছ চোর, অবাধ বিচরণসহ বিভিন্ন কারণে হারিয়ে যাচ্ছে ঝাউবাগান। কৃত্রিম দুর্যোগ হিসেবে অবাধে সৈকত থেকে বালি উত্তোলন করায় ঝাউবাগান বিলীনের আরেকটি কারণ। একটি মহল সারা বছরই সৈকত থেকে বিশেষ করে কৈয়ারবিল ইউনিয়নের কয়েকটি স্পট থেকে বালি উত্তোলনের অভিযোগ দীর্ঘ দিনের।
বেড়িবাঁধের বাইরে থাকা ও তৎসংলগ্ন ৫০-৬০টি বসত ভিটা ছাড়াও কাঁচা বেড়িবাঁধ হুমকির মুখে।
মৌলভী পাড়ার মানিকুল ইসলাম, বাবুল, সেলিম, বশর, লোকমান, মতলব, মো. উল্লাহ, রুবেল, ইব্রাহিম, জসীম প্রমূখের বাড়িসহ কেরানি মসজিদটিও ঝুঁকিতে। কৈয়ারবিল ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইব্রাহিম খলীল, মনজুর আলম, আবুল কাশেম জানান, এমনিতেই পূর্ণিমা-অমাবশ্যায় অতিরিক্ত জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে লবনাক্ত ঢেউয়ে বাড়ি-ঘর ভাঙছে। উপড়ে যাচ্ছে বিভিন্ন গাছসহ রোপিত ঝাউগাছ।
স্থানীয় একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তি রাতের আধারে ট্রাক ভর্তি করে সৈকত থেকে বালি নেয় প্রতিনিয়ত। ব্যবহার হচ্ছে সরকারি-বেসরকারি কাজ ছাড়াও ব্যক্তিগত পুকুর ভরাটে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানান, স্থানীয় ইউপি সদস্য মীর কাশেমসহ একাধিক নেতার মাহিন্দ্র ট্রাকে রাত ৩টা থেকে ফজরের আজানের আগ পর্যন্ত লোড করে বালি নেয়া হয় সৈকত থেকে। কেউ কিছু বললে তাদের উল্টো শাসানো হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মীর কাশেম জানান, উপজেলা প্রশাসনের দেয়া ৩ হাজার ঝাউ চারা তিনি সৈকতে রোপন করেছিলেন। জোয়ারের আঘাতে তার সিংহভাগ বিলীন হয়ে গেছে। রক্ষা করা যাচ্ছে না। তিনি নিজেও সৈকতের বালি উত্তোলনে জড়িত অভিযোগের ব্যাপারে বলেন, সরকারি কাজের প্রয়োজনে দু’এক গাড়ি বালি নেয়া হলেও তা উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী বলেন, অবাধে বালি উত্তোলনের কোন অনুমতি নাই। সরকারি কাজে একমাত্র জরুরি প্রয়োজনে উপজেলা প্রশাসন কয়েক গাড়ি বালি উত্তোলনের অনুমতি দিলেও তা শুধুমাত্র প্রয়োজনের সময়, সারা বছরের জন্য নয়। কেউ যদি সৈকত থেকে বালি অনুমতি ছাড়া নেয় তার বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।