মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
তাইওয়ান প্রণালীতে ১৮ টি চীনা বিমানের মহড়ার জবাবে জঙ্গি বিমান উড়িয়েছে তাইওয়ান। এ ঘটনায় তাইপেতে মার্কিন কর্মকর্তার সফরের মাঝেই নতুন করে চীন-তাইওয়ান উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। তাইওয়ানে মার্কিন কর্মকর্তার সফরে ক্ষুব্ধ চীন শুক্রবার তাইওয়ান প্রাণলীতে সামরিক মহড়া চালানো ঘোষণা দেয়। তাইপে-ওয়াশিংটনের মধ্যকার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক প্রত্যক্ষ করে চীন সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে মহড়া জোরদার করেছে। গত সপ্তাহেও চীন ওই এলাকায় আকাশ এবং সমুদ্রে দুইদিনের মহড়া চালিয়েছে। শুক্রবার তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি কেইথ ক্রাচের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। তিনদিনের সফরে ক্রাচ বৃহস্পতিবার তাইওয়ানের রাজধানী তাইপে’তে নামেন। চীন সঙ্গে সঙ্গেই এর ‘সমুচিত জবাব’ দেওয়া হবে বলে জানায়। এরপর শুক্রবারেই ১৮ টি চীনা বিমান তাইওয়ান প্রণালীর মিডলাইনের ওপর দিয়ে উড়ে গেছে বলে জানিয়েছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়। টুইটারে ইংরেজি ভাষার এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় বলেছে, “১৮ সেপ্টেম্বরে দুটি এইচ-৬, আটটি জে-১৬, চারটি জে-১০ এবং চারটি জে-১১ জঙ্গি বিমান তাইওয়ানপ্রণালীর মিডলাইন পার হয়ে তাইওয়ানের দক্ষিণপশ্চিমের এডিআইজেড (এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোন)-এ প্রবেশ করেছে।” এই চীনা জঙ্গিবিমানগুলো যে পথ দিয়ে উড়ে গেছে তার একটি মানচিত্র দেখিয়েছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। সেগুলোর তাইওয়ান প্রণালী মিডলাইন পেরোনোরও প্রমাণ দিয়েছে তারা। সাধারণত কোনও পক্ষেরই জঙ্গি বিমান এই মিডলাইন পেরোয় না। কিন্তু এবার তাইওয়ানের ভাষ্যমতে, চীন সেখানে একগাদা জঙ্গি বিমান উড়িয়েছে। তাইওয়ানের লিবার্টি টাইমস নিউজপেপার বলেছে, চীনের জঙ্গিবিমানগুলোকে দূরে সরে যাওয়ার সতর্কবার্তা দিয়ে তাইওয়ানের জঙ্গিবিমানগুলো শুক্রবার সকালে ৪ ঘন্টা ধরে ১৭ বার আকাশে চক্কর দিয়েছে। তাছাড়া, তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলের হুয়ালিয়েন বিমান ঘাঁটিতে এফ-১৬ জঙ্গিবিমানে ক্ষেপণাস্ত্র ভরার একটি ছবিও ছাপিয়েছে পত্রিকাটি। ওদিকে, বেইজিংয়ে শুক্রবার সকালের এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, “চীন আদতে তাইওয়ান প্রণালীর কাছে সামরিক মহড়া চালাচ্ছে। ওই প্রণালীতে বর্তমান পরিস্থিতির বিচারে আঞ্চলিক অখন্ডতা এবং জাতীয় সার্বভৌমত্বের সুরক্ষায় এই মহড়া চালানো যুক্তিসঙ্গত এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।“ চীন তাইওয়ানকে নিজেদের একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ বলেই বিবেচনা করে আসছে। তাইপে স্বাধীন হওয়ার চেষ্টা করলে প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগেরও হুমকি দিয়ে রেখেছে তারা। শুক্রবার চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রেন গুকিয়াং যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানকে নিজেদের মধ্যে আঁতাত বৃদ্ধির পাশাপাশি নিয়মিতভাবে ঝামেলা সৃষ্টির বিষয়ে অভিযুক্ত করেন। তবে এ সময় তিনি মার্কিন কর্মকর্তার সফর নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তার মতে, তাইওয়ানকে ব্যবহার করে চীনকে নিয়ন্ত্রণ করা কিংবা নিজেকে গঠনের জন্য বিদেশীদের ওপর নির্ভরশীলতা মোটেই বাস্তবসম্মত চিন্তা নয়। যারা আগুন নিয়ে খেলা করে তারা শেষ পর্যন্ত নিজেরাই পুড়ে যায়। রেন তাইওয়ান প্রণালির কাছে সামরিক মহড়া নিয়ে তেমন বিস্তারিত কিছু জানাননি। তবে এ মহড়ায় চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড নেতৃত্ব দেয়। রেনের দাবি, চীনের সার্বভৌমত্ব ও অখন্ডতা ধরে রাখার জন্য এ মহড়া যেমন জরুরি তেমনি প্রয়োজনীয়। এর আগে তাইওয়ানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূলে দুই দিন বেশ বড় পরিসরে সামরিক মহড়া পরিচালনা করে চীনা সেনাবাহিনী। তাইপেইয়ে বিবিসির প্রতিনিধি সিনডি সুই বলেন, মূলত এ মহড়ার মধ্য দিয়ে চীন যুক্তরাষ্ট্রকে তাইওয়ানের বিষয়ে সতর্কবার্তা দিতে চাইছে। চীন চাইছে, এক্ষেত্রে মার্কিন কর্তৃপক্ষ দেশটির আগের প্রশাসনের মতোই ভারসাম্য বজায় রেখে চলুক। মূলত তাইওয়ানের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের দিকে ঝুঁকছে। অন্যদিকে দূরত্ব বাড়ছে চীনের সঙ্গে। তাইওয়ান মূলত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ করার মধ্য দিয়ে স্বাধীন দেশ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় করতে চাইছে। বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।