পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কক্সবাজারে করোনার প্রকোপ অনেকটা কমেছে মনে করা হলেও করোনার পর এখন কক্সবাজারের ঘরে ঘরে সর্দি কাশি ও জ্বরের প্রকোপ বেড়েছে। শুধু শহরাঞ্চল নয় গ্রামে গ্রামেও ছড়িয়ে পড়েছে জ্বর সর্দিসহ মাথা ব্যাথার প্রকোপ। তবে এটি মৌসুমি ভাইরাস বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা। এতে হাসপাতালগুলোতে রোগীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে।
এছাড়া বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতাল, ডাক্তারের চেম্বারেও রোগীদের ভিড় লেগে আছে। অনেকে করোনা উপসর্গ হিসাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়লেও কেউ করোনা স্যাম্পল পরীক্ষায় আগ্রহী না। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্ক মানুষরা বেশি আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ছে বলে জানা গেছে। এই সুযোগে ফার্মেসীগুলোতে জ্বর সর্দি সংশ্লিষ্ট ওষুধ বাড়তি দাম নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, এটা মৌসুমী ফ্লু বলা যেতে পারে। তবে করোনার প্রকোপ এখন কমেছে। গতকাল কক্সবাজারে ১৭ জন করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে। তবে সাধারণ মানুষকে আরো বেশি স্বাস্থ্য সচেতন হওয়ার আহবান জানান তিনি।
ঝিলংজা হাজীপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী আবদুল হামিদ জানান, ৩ দিন আগে হঠাৎ করে শরীরে প্রচন্ড শীত অনুভব করে পুরু শরীর ব্যাথা হয়ে গেছে পরে গায়ে প্রচন্ড জ্বর আসায় খুবই আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। ৭২ ঘণ্টা পরেও জ্বর না কমাতে করোনা পরীক্ষা দিয়েছিলাম তবে রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। পৌর এলাকার নুর হোসেন বলেন, আমার পরিবারের ৫ সদস্য সবার গত সপ্তাহ থেকে জ্বর এখন জ্বর কিছুটা কমলেও ঠাÐা সর্দি যাচ্ছে না। কক্সবাজার গ্রাম ডাক্তার সমিতির সভাপতি ডা. চন্দন কান্তি দাশ বলেন, চেম্বারে এখন যে রোগী আসছে তার মধ্যে ৯৫ ভাগ জ্বর সর্দির। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যা বেশি। নিয়মিত কিছু ওষুধ লিখে দিচ্ছি।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আলী আহসান বলেন, বেশির ভাগ কমিউনিটি ক্লিনিক সূত্রে জানা গেছে গ্রামেগঞ্জে জ্বর সর্দির ব্যাপক প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এতে কমিউনিটি ক্লিনিকে ওষুধ সঙ্কট দেখা দিচ্ছে। তবে এটা সিজনাল সমস্যা, সময়মতো ওষুধ খেলে ভালো হয়ে যাচ্ছে। তাই আতঙ্কিত না হয়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শমত চিকিৎসা নিতে হবে।
জেলা বিএমএ সাধারণ সম্পাদক ডা. মাহাবুবুর রহমান বলেন, বর্তমানে যে জ্বরের প্রকোপ দেখা যাচ্ছে সেটা মৌসুমী সমস্যা তবে শহরাঞ্চলে কিছুটা করোনার বিষয়ে সচেতনতা দেখা গেলেও গ্রামের মানুষের মধ্যে করোনা বিষয়ে একেবারে উদাসিন ভাব চলে এসেছে। এটা ঠিক না। তিনি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার এবং আতঙ্কিত না হয়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেয়ার কথা বলেন। অযথা এন্টিবায়টিক না খাওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।