মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : ইথিওপিয়াজুড়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে শতাধিক নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। মানবাধিকার সংস্থাটি জানিয়েছে, সবচেয়ে প্রাণঘাতি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বাহির দারে। সেখানে গত রোববার অন্ততপক্ষে ৩০ জন নিহত হন। তবে দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাহির দারে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে সাতজন নিহত হয়েছেন। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইথিওপিয়ায় নজিরবিহীন প্রতিবাদ-বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে। দেশটির অরোমো এবং আমহারা অঞ্চলের জনগণ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্যের অভিযোগ করছেন। অ্যামনেস্টি জানায়, অরমো অঞ্চলের বিভিন্ন শহরে গত রোববার জনগণের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সরাসরি গুলি চালিয়ে ৬৭ জনকে হত্যা করে। একই দিনে আমহারা অঞ্চলের রাজধানী বাহির দারে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। অনেক বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। দেশটির সরকারের ঘনিষ্ঠমিত্র যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, সহিংসতার ঘটনায় তারা ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’। পাশাপাশি জনগণের প্রতিবাদ জানানোর অধিকারকে সম্মান জানানো উচিৎ বলেও জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এছাড়াও সরকারবিরোধী পক্ষ একই সংখ্যক মানুষ নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে। হুঁশিয়ারি লঙ্ঘন করে অননুমোদিত বিক্ষোভ-সমাবেশের জন্য ‘কাছের ও দূরের শত্রুরাষ্ট্র এবং সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমকর্মীদের’ উস্কানিকে দায়ী করেছে দেশটির সরকার। কর্তৃপক্ষের দাবি, বিক্ষোভকারীরা সরকারি ও জনগণের সম্পদ ধ্বংসের পাশাপাশি সহিংসতা ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছিল।
উল্লেখ্য, এ বছরেই ইথিওপিয়ার দক্ষিণ সুদান সীমান্তের গ্যাম্বেলা প্রদেশে সশস্ত্র ব্যক্তিদের হামলায় ১৪০ নিহত হয়েছিল। ২০১৩ সালে দক্ষিণ সুদানের প্রেসিডেন্ট সালভা কির অভ্যুত্থান ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ভাইস প্রেসিডেন্ট রিয়েক মাচারকে বরখাস্ত করেন, এতে দেশটির দুই নেতার অনুসারীদের মধ্যে লড়াই শুরু হয়ে গৃহযুদ্ধের রূপ নেয়। তখন দক্ষিণ সুদান থেকে পালিয়ে আসা কয়েক হাজার শরণার্থীকে আশ্রয় দেয় ইথিওপিয়া। বর্তমানে একটি শান্তি চুক্তির অধীনে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের উদ্দেশ্যে দক্ষিণ সুদানের রাজধানী জুবায় ফেরার কথা রয়েছে মাচারের। ইথিওপিয়ার মন্ত্রী রেদা জানিয়েছেন, দক্ষিণ সুদানের সরকার বা বিদ্রোহীদের সঙ্গে হামলাকারীদের কোনো ধরনের সম্পর্ক আছে বলে মনে করছেন না তারা। বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।