পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতাল ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে এক বিদেশির মৃত্যু হয়েছে। তার নাম মিখাইল স্টেলমাখ (২৯)। তিনি বেলারুশের নাগরিক। তিনি পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিক ছিলেন। গত রোববার ভোরে ল্যাবএইড হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে বলে ধানমন্ডি থানার ওসি একরাম আলী মিয়া জানিয়েছেন। অন্যদিকে রাজধানীর শাহবাগে বাস কাউন্টারের বক্সে পাওয়া দুই মাসের শিশুটির ঠাঁই হয়েছে আজিমপুর বেবি কেয়ার সেন্টারে। গতকাল দুপুরে তাকে সমাজসেবা অধিদফতরের অধীন আজিমপুর বেবি কেয়ারে রাখা হয়েছে বলে জানান রমনা থানার এসআই তাহমিনা।
ধানমন্ডি থানার এসআই মো. রায়হানুল করিম জানান, গত রোববার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মিখাইল স্টেলমাখ নামে ওই ব্যক্তি হাসপাতাল থেকে লাফিয়ে পড়েন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় বিকেল পৌঁনে ৩টার দিকে ওই হাসপাতালেই তার মৃত্যু হয়। গত মাসে তিনি করোনা পজিটিভ হলে সহকর্মীরা তাকে ধানমন্ডি ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করেন। ল্যাবএইড হাসপাতালের ষষ্ঠ তলায় ভর্তি ছিলেন তিনি। সাত-আটবার তার করোনা পরীক্ষা করা হয়। একবার পজিটিভ আসে, আবার নেগেটিভ, আবার পজিটিভ আসে। এ কারণেই তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। গত রোববার ভোরে ষষ্ঠ তলায় বাথরুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে জানালা দিয়ে তিনি লাফিয়ে নিচে পড়েন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়।
তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠাই। ময়নাতদন্তের পরে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। নিহতের বাবার নাম ইভান। পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ফিটার হিসেবে কাজ করতেন তিনি।
বাস কাউন্টারে পাওয়া শিশুটির ঠাঁই হলো বেবি কেয়ারে : রাজধানীর শাহবাগে বাস কাউন্টারের বক্সে পাওয়া দুই মাসের শিশুটির ঠাঁই হয়েছে আজিমপুর বেবি কেয়ার সেন্টারে। গতকাল দুপুরে তাকে সমাজসেবা অধিদফতরের অধীন আজিমপুর বেবি কেয়ারে রাখা হয়েছে বলে জানান রমনা থানার এসআই তাহমিনা। পথচারী মো. কামাল ও রাসেল বলেন, গত রোববার দিবাগত রাত ৯টার দিকে বারডেম হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনের রাস্তায় একটি ফাঁকা বাস কাউন্টারের পাশে বসে চা পান করছিলাম। হঠাৎ একটি শিশুর কান্না শুনতে পাই। পরে কাউন্টারের ভেতরে গিয়ে দেখতে পাই টেবিল বাক্সের ভেতরে শিশুটিকে। কাপড় দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রমনা থানায় নিয়ে গেলে পুলিশ শিশুটিকে দেখে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু তার কোন অসুস্থতা পাওয়া যায়নি।
রমনা থানার এসআই তাহমিনা বলেন, শিশুটি পুরোপুরি সুস্থ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে শিশুটিকে আপাতত সমাজসেবা অধিদফতরের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের তত্ত্বাবধানে শিশুটিকে আজিমপুর বেবি কেয়ারে রাখা হয়েছে। পরে শিশুটির বাবা-মার সন্ধান পেলে যথাযথ পরিচয় নিশ্চিত হয়েই তাদের কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।