পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের সকল রেল রুট মিটার গেজের পরিবর্তে ব্রডগেজে রুপান্তর করা হবে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী চট্টগ্রাম হতে লাকসাম পর্যন্ত ব্রডগেজ লাইন নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সেই লাইন নির্মাণের দৃশ্যমানতা যাচাই করা হচ্ছে। আমরা আশা করছি অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ডুয়ের গেজ লাইনের কাজ শুরু করতে পারবো। সেটি শেষ হলে আমরা মিটারগেজ এবং ব্রডগেজ দুই লাইনেই ট্টেন চালাতে পারবো। গতকাল রোববার সকাল ৯ টায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাওয়ার সময় ফেনী রেলস্টেশনে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি কালে এসব কথা বলেন।
এর আগে রেলমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে ফেনী স্টেশনে ছুটে যান ফেনী-২ আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী, জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবীসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
এসময় রেলমন্ত্রীর কাছে ফেনীর মানুষের জন্য ট্টেনের আসন ও টিকিটের সংখ্যা বৃদ্ধি, স্টেশনের আধুনিকায়ন, জেনারেটর স্থাপনসহ বিভিন্ন দাবি জানান নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপি। তার দাবীর প্রেক্ষিতে রেলমন্ত্রী বলেন লাকসাম থেকে আখাউড়া ডুয়েল গেজের কাজ চলমান রয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে লাকসাম পর্যন্ত ব্রডগেজ লাইন নির্মাণের প্রকল্প শুরু হলে ফেনী স্টেশনের জন্য সকল সুযোগ সুবিধা সম্পন্নভাবে রুপায়িত করা হবে। যাতে মানুষ ১শ’ বছর ধরে মনে রাখে। তিনি বলেন, তখন আর জেনারেটরের প্রয়োজন হবে না।
টিকিট ও আসন সংখ্যা বৃদ্ধি দাবীর প্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, টিকিটের সংখ্যা বাড়ানো সম্ভব। আমি ঢাকা গিয়ে চেষ্টা করব কিভাবে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করা যায়। ফেনীর মানুষের ঢাকার চেয়ে চট্টগ্রামের সাথে যোগাযোগ বেশি। ফেনী থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত আলাদা কোন ট্রেনের ব্যবস্থা করা যায় কিনা তা বিবেচনা করা হবে। সীমানা প্রাচীর নির্মাণের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় কাজ শুরু করেছি এবং ষ্টেশনগুলোকে একটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি যাতে টিকেট ছাড়া কোন যাত্রী প্লাটফর্মে ঢুকতে না পারে। ঢাকা কমলাপুর,জয়দেবপুর,বিমানবন্দর,নরসিংদী এ স্টেশনগুলোতে ইত্যেমধ্যে এক্সেস কন্ট্রোল শুরু হয়েছে বলে তিনি জানান।
মন্ত্রী গত শনিবার বাস্তবায়নাধীন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের বিভিন্ন স্থানে কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। রাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে অবস্থান শেষে গতকাল সকালে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন মন্ত্রী। ফেনীতে যাত্রা বিরতির পর পথিমধ্যে লাকসাম ও আখাউড়া আরো কয়েকটি প্রকল্প পরিদর্শন করবেন বলে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।