পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুই দশক আগেও বগুড়াসহ উত্তরের হাটবাজারে সস্তায় দেখা মিলতো ভারতীয় রুই, কাতলা, মৃগেল বাউশ মাছ। চোরা চালান হয়ে আসা ভারতীয় মাছের চালান ধরা পড়তো প্রতিনিয়তই। ভারতীয় এই মাছগুলো চাষ হতো পচা হাজা মজা লেক জলাশয়ে। ওই সব মাছের খাদ্য ছিল বিভিন্ন প্রকারের বর্জ্য দ্রব্য। তবে ক্রেতাদের কাছে ভারতীয় মাছের কোন কদর ছিল না ।
তবে গত একযুগে বাংলাদেশে মাছ চাষের পরিকল্পিত প্রসারের ফলে দেশ এখন মাছে স্বয়ংসম্পুর্ণ ও স্বনির্ভর। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবনের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদের প্রচেষ্টার ফলে উত্তরের কেন্দ্রীয় জেলা শহর বগুড়ার ৩৬০টি রেজিস্ট্রার্ড মৎস্য হ্যাচারির উৎপাদিত রেণু ও পোনা মাছ এখন দেশের চাহিদা মিটিয়ে সীমান্ত পথে প্রতিবেশি ভারতেও যাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরা রাজ্যের মৎস্য খামার গুলো এখন অনেকটাই বগুড়ার রেণু পোনার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে বলে তথ্য মিলেছে। বিশেষ করে বগুড়ার মৎস্য হ্যাচারি গুলোর পাবদা মাছের রেণুপোনার তীব্র চাহিদা রয়েছে ভারতীয় মৎস্য খামারিদের কাছে।
বিষয়টির সত্যতা সম্পর্কে জানতে বগুড়ার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সরকার আনোয়ারুল কবীর জানান, করোনার আগে পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৭ থেকে ৮ টন মাছের পোনা ভারতে যেত। তিনি জানান, পৃথিবীতে মৎস্য উৎপাদনের দিক থেকে পরিমাণগতভাবে তৃতীয় অবস্থানে থাকলে ও কোয়ালিটি প্রডাকশনে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। তাছাড়া তাদের কাছে।বগুড়ার মৎচাষিরা খুবই সম্ভাবনাময়।
জানতে চাইলে মৎস্য খামারী মাও. ফজলে রাব্বী তোহা জানান, বগুড়ায় দেশীয় প্রজাতির রেণু যেমন, পাবদা, কৈ, মাগুর, শিং, স্টার বাইম, ট্যাংরা, মওয়া (মলা), চিতল প্রভৃতি মাছের রেণুু পোনা উৎপাদনে ব্যাপকভাবে সফল হয়েছে। তিনি জানান, বগুড়ায় উৎপাদিত দেশীয় মাছের পোনার ব্যাপক চাহিদার ভারতের বাজারে চাহিদার কারণে সীমানা পেরোলেই রেণু পোনার দাম দ্বিগুণ হয়ে যায় ।
সং¯িøষ্ট সুত্র গুলো জানায়, বগুড়ায় উৎপাদিত পাবদা মাছের পোনার সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে ভারতে। এছাড়াও সোনালী রঙের স্টার বাইম ( বড় সাইজের গচি মাছ ), চিতল ও ফলি মাছেরও রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। উত্তরের হিলী, গোদাগাড়ি সীমান্ত পথে নিয়মিতভাবে পাচার হয় রেণু পোনা। তবে বেনাপোল ও আখাউড়া সীমান্ত পথে যাচ্ছে পোনার বড় বড় চালানগুলো। মৎস্য চাষ ও হ্যাচারি সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, দেশের বাজারে ভারতীয় নিম্ন মাছের আগমন বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশি রেণু পোনার ভারত যাত্রা একটা বিরাট ও দৃষ্টি গ্রাহ্য অগ্রগতি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।