দক্ষিণাঞ্চলে করোনা সংক্রমিত রোগীর সুস্থ্যতার হার এখন ৮২.০৭ ভাগ। তবে মৃত্যু হারও সারা দেশের মধ্যে বেশী, ২.১০%। আর নমুনা পরিক্ষার তুলনায় সনাক্তের হার ১৮ ৩১%। বৃহস্পতিবার সকালের পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় দক্ষিণাঞ্চলে করোনা সংক্রমনে কোন মৃত্যু সংবাদ না থাকলেও আক্রান্তের সংখ্যা আরো কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এসময়ে পটুয়াখালী, বরগুনা ও ঝালকাঠীতে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও পিরোজপুরে গত দুদিন কোন আক্রান্ত ছিলনা বলে সরকারীভাবে বলা হয়েছে। পাশাপাশি বরিশাল ও ভোলাতে আক্রান্তের সংখ্যা সামান্য হ্রাস পেয়েছে। আর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলে সর্বমোট ৭ হাজার ৯২১ জন আক্রান্তের মধ্যে স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমিত হিসেবনুযায়ী নতুন ৭৬ জন সহ মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬ হাজার ৫০১ জন। তবে এপর্যন্ত মারা গেছেন ১৬৬ জন।
এদিকে বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে গত ২৪ ঘন্টায় ২৮২ জনের নমুনা পরিক্ষায় ২০ জনের ও ভোলা জেলা হাসপাতালে ৫৬ জনের নমুনা পরিক্ষায় দুজনের করোনা পজিটিভ সনাক্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
পটুয়াখালীতে বৃহস্পতিবার সকালের পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের একজন থেকে ৩ জনে উন্নীত হবার ফলে জেলাটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যাটা দাড়িয়েছে ১,৩৫১জনে। জেলাটিতে এপর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩৭ জনের। বরগুনাতেও আগের দিন কোন আক্রান্ত না থাকলেও বৃহস্পতিবার ৪ জন কোভিড-১৯ রোগী সনাক্ত হবার ফলে জেলাটিতে মোট সংখ্যাটা দাড়িয়েছে ৮৮২’তে । এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১৯ জন। ঝালকাঠীতেও আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের দুই থেকে বৃহস্পতিবার ৫ জনে উন্নীত হবার ফলে মোট সংখ্যাটা দাড়িয়েছে ৬৭৪ জনে। জেলায় এপর্যন্ত মারা গেছেন ১৬জন।
এতিকে বরিশালে বৃহস্পতিবার সকালের পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় নতুনকরে ১০ জনের দেহে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়েছে। যা পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় ছিল ১২। ফলে জেলাটিতে এপর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৩,৩০৩ জনে। আর মৃত্যু হয়েছে ৬৬ জনের। দক্ষিণাঞ্চলে করেনার হটস্পট বরিশালে আক্রান্ত ও মৃতদের প্রায় ৮০ ভাগই এখনো মহানগরীতে।
দ্বীপজেলা ভোলাতেও আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের ৬ থেকে বৃহস্পতিবার সকালে দুজনে হ্রাস পেয়েছে। জেলাটিতে এ পর্যন্ত মোট ৬৯২ জন আক্রান্তের মধ্যে মারা গেছেন ৬ জন। পিরোজপুরে গত দুদিন নতুন কোন করোনা রোগী সনাক্ত হয়নি। জেলাটিতে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত মোট ১,০১৯ জন আক্রান্তের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের।
এদিকে বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে বৃহস্পতিবার সকালে চিকিৎসাধীন ছিল ২৫জন। যা আগেরদিন একই সময়ে ছিল ৩২। অপরদিকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন ৪০ জন রোগী। আগের দিনও সংখ্যাটা একই ছিল । অপরদিকে হাসপাতালটির আইসিইউতে আগের দিনের ৯জনের স্থলে বৃহস্পতিবার ৭ জন রোগী চিকিৎসাধীন ছিল।