পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একমাত্র মাধ্যম ইন্টারনেটে অনলাইন পাঠদান। কিন্তু ইন্টারনেট সকলের জন্য কি ব্যবহার উপযোগী হিসেবে গড়ে উঠেছে? আইনানুযায়ী ১৮ বছরের নীচে কেউ স্মার্ট ফোন, ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে না। কিন্তু বাস্তবতা বিচার-বিবেচনায় নিয়ে আজ প্লে থেকে শুরু করে বিশ^বিদ্যালয় পড়–য়া সকল ছাত্র-ছাত্রীকেই ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হচ্ছে। যদিও শতভাগ ছাত্র-ছাত্রীকে ইন্টারনেট দেওয়া সম্ভব হয়নি। তারপরও যারা এখন পর্যন্ত ইন্টারনেট ব্যবহার করছে তাদের নিরাপত্তার জন্য এখন পর্যন্ত কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে নিরাপদ ইন্টারনেটে পাঠদান নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষা অ্যাপস তৈরির আহবান জানিয়েছে মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন।
গতকাল সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ এই দাবি জানান।
তিনি বলেন, আমরা যখন ইন্টারনেটের মূল্য কমিয়ে সকলের জন্য ব্যবহার উপযোগী করার কথা বলছি তখন আমাদের এর অপব্যবহারের দিকটি ও নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় আনতে হয়। ইতোমধ্যে এর অপব্যবহার আমাদেরকে উদ্বেগের মধ্যে ফেলে দিয়েছে এতে কোন সন্দেহ নেই। আমাদের দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তাদের নিজস্ব কোন অ্যাপস তৈরী করতে সক্ষম হয়নি। তারা হয় তাদের পেজ, ইউটিউব বা ফেসবুক ব্যবহার করে শিক্ষাদান করছেন। এতে করে বাড়ছে ঝুঁকি। বাবা-মারা কোমলমতি শিশুর হাতে তুলে দিতে বাধ্য হচ্ছে স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ। তিনি বলেন, শিশুদের স্বভাবজাত প্রক্রিয়া হচ্ছে অতি উৎসাহী থাকা। যখন এ সমস্ত যোগাযোগ মাধ্যম খুলছে ঠিক তখনই বিকৃত ওয়েব সিরিজ, টিকটকের অপসংস্কৃতি বা ইউটিউবের রঙিন জগত তাদের আকৃষ্ট করছে।
একই সাথে হ্যাকারদের ম্যালওয়ারযুক্ত ম্যাসেজও ক্লিক করে ফেলতে পারছে। এতে একদিকে শিক্ষার্থী অন্যদিকে অভিভাবকরাও বিপদে পড়তে যাচেছ। মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা নিয়ে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে একটি অ্যাপসের আওতায় এনে তাতে আলাদা আলাদা আইডি তৈরী করে অনলাইনে পাঠদান করলে ছাত্র-ছাত্রীদের অন্য কোন মাধ্যম ব্যবহারের সুযোগ থাকবে না। একই সাথে এই সকল অ্যাপস সরকারিভাবে ফ্রি ব্যবহার করার সুযোগ দিলে ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচও অনেকাংশে কমে আসবে। একই সাথে ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা নিরাপত্তার আওতায় আসবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।