পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে বেনাপোল বন্দরের সঙ্গে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর সর্বাধিক গুরুত্ব বহন করে। তবে দীর্ঘদিন ধরে এ বন্দরে পণ্য রক্ষণাবেক্ষণে বেহাল দশা, পণ্য খালাস ও পরীক্ষণ যন্ত্র নিয়ে জটিলতা আর জায়গা সঙ্কটসহ নানা অব্যবস্থাপনায় স্থবির হয়ে পড়েছে বাণিজ্যিক কার্যক্রম। বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের ক্ষোভের পাশাপাশি দু’দেশের মধ্যে আমদানি রফতানি বাণিজ্য বন্ধের হুমকি দিয়েছেন ভারতীয় ট্রাক চালকরা।
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাণিজ্য বাড়াতে বন্দরের বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা তাদের রয়েছে। এসব বাস্তবায়ন হলে বাণিজ্যে গতি ফিরবে বলেও জানান তিনি। গতকাল ভারতীয় ট্রাক চালকদের বাণিজ্য বন্ধের হুমকির বিষয়টি জানান বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন।
বন্দরে জায়গার অভাবে দিনের পর দিন পণ্য নিয়ে ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকায় লোকসানের পাল্লা ভারি হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। যার প্রভাব পড়ছে দেশিয় বাজারে আমদানি পণ্যের ওপর। অথচ এ বন্দর থেকে প্রতিবছর সরকারের কয়েক হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়। ইতোমধ্যে বেনাপোল বন্দরের অব্যবস্থাপনায় ক্ষোভ জানিয়ে ভারতের পেট্রাপোলের বনগাঁ মোটর শ্রমিক অ্যাসোসিয়েশন আল্টিমেটাম দিয়ে বলেছে, দ্রুত পণ্য খালাসসহ অব্যবস্থানার স্থায়ী সমাধান না হলে তারা বেনাপোল বন্দরে পণ্য পরিবহন বন্ধ করে দিবেন। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, সুষ্ঠু বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বেনাপোল বন্দরে সমস্যার অন্ত নেই। বন্দরের জায়গার অভাব আর খালাসের যন্ত্রপাতি বিকল থাকায় তারা সময়মত পণ্য নিতে পারছেন না। অথচ এ বন্দর থেকে প্রতিবছর তারা সরকারকে ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব দিচ্ছেন। দিনের পর দিন খালাসের অপেক্ষায় ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকায় আমদানি খরচ বাড়ছে। সন্তোষজনক সমাধানের মাধ্যমে যাতে বাণিজ্য সচল থাকে তার জন্য আলোচনা চলছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, ভারতীয়রা বেনাপোল বন্দরের অব্যবস্থাপনায় ক্ষুব্ধ হয়ে এ পথে বাণিজ্য বন্ধের যে হুমকি দিয়েছেন তার যৌক্তিকতা আছে। উন্নয়ন নিয়ে বেনাপোল বন্দরের কোনো মাথাব্যাথা নেই। বন্দরের ধারণক্ষমতা মাত্র ৪০ হাজার মেট্রিক টন কিন্তু পণ্য থাকে সব সময় ২ লাখ মেট্রিক টন। অবহেলা অযত্ম খোলা আকাশের নিচে এসব পণ্য বৃষ্টির পানি-কাদাতে ভিজে মান নষ্ট হচ্ছে। বার বার কর্তৃপক্ষকে বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নের দাবি জানানো হলেও নজরদারি কম বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এদিকে বেনাপোল বন্দরকে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন থেকে সরিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেয়ার দাবি তুলেছেন ব্যবসায়ী নেতারা। ভারত-বাংলাদেশ ল্যান্ডপোর্ট এমপোর্ট-এক্সপোর্ট কমিটির চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান বলেন, উন্নয়ন বাড়াতে হলে বন্দরকে নৌ পরিবহনের অধীন থেকে সরিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিতে হবে। যা ইতোমধ্যে ভারত সরকার পেট্রাপোল বন্দরে করেছেন।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (প্রশাসন) আব্দুল জলিল বলেন, ইতোমধ্যে বন্দরের বেশ কিছু অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে। তবে বাণিজ্য সম্প্রসারণে নতুন জায়গা অধিগ্রহণ, পণ্যগার বাড়ানো, চুরি রোধে সিসি ক্যামেরা ও বন্দরের চারপাশে প্রাচীর নির্মাণের পরিকল্পনা তাদের রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।