নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
একে তো বিশ্বের এক নম্বর টেনিস খেলোয়াড়, তার উপর ছিলেন দুর্দান্ত ছন্দে। ২০২০ সালে হারেননি একটি ম্যাচও। তাই এবারের তারকাহীন ইউএস ওপেনের শিরোপা জয়ের দৌড়ে তাকেই এগিয়ে রাখা হচ্ছিল। কিন্তু আসর থেকে শীর্ষ বাছাই নোভাক জোকোভিচের বিদায়টা হলো বিস্ময়করভাবে। চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে এক লাইন জাজকে দুর্ঘটনাক্রমে বল দিয়ে আঘাত করায় ডিসকোয়ালিফাইড হয়েছেন এই সার্বিয়ান তারকা।
গতপরশু রাতে নিউ ইয়র্কের ফ্লাশিং মিডোসে স্পেনের পাবলো কারেনো বুস্তার বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন জোকোভিচ। কিন্তু প্রথম সেটে ৬-৫ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় বেশ হতাশ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে পকেট থেকে একটি বল বের করে র্যাকেট দিয়ে বেশ জোরের সঙ্গে কোর্টের পেছনের দিকে মারেন তিনি। অপ্রত্যাশিতভাবে সেটা গিয়ে লাগে এক নারী লাইন জাজের গলায়। ব্যথা পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে বসে পড়েন তিনি।
১৭টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী জোকোভিচ তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষমা চান এবং দ্রুততার সঙ্গে যন্ত্রণাকাতর ওই ম্যাচ অফিসিয়ালের পাশে গিয়ে দাঁড়ান। কিছুক্ষণ পর সুস্থ হয়ে উঠে বসেন ওই নারী লাইন জাজ। কিন্তু ততক্ষণে নির্ধারিত হয়ে যায় ৩৩ বছর বয়সী জোকোভিচের ভাগ্য। এরপর প্রতিযোগিতার রেফারি সোরেন ফ্রিমেল আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে আসেন। প্রথমে ম্যাচের আম্পায়ার অরেলি ট্যুরটের সঙ্গে এবং পরে জোকোভিচের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলাপ করেন তিনি। আলোচনা শেষে নিয়ম অনুযায়ী তিনবারের ইউএস ওপেন জয়ী তারকাকে ডিসকোয়ালিফাইড ঘোষণা করেন আসরের কর্মকর্তারা।
গ্র্যান্ড স্ল্যামের নিয়মকানুনের মধ্যে লিখিত রয়েছে, ‘কোনো খেলোয়াড় কোনো সময়েই প্রতিযোগিতার সীমার ভেতরে কোনো অফিসিয়াল, প্রতিপক্ষ, দর্শক বা অন্য কোনো ব্যক্তিকে শারীরিকভাবে আঘাত করতে পারবেন না।’ যুক্তরাষ্ট্রের টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘যেহেতু তাকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে, তাই জোকোভিচ এবারের ইউএস ওপেনে অর্জন করা সমস্ত র্যাঙ্কিং পয়েন্ট হারাবেন এবং তাকে প্রতিযোগিতায় এখন পর্যন্ত জেতা প্রাইজ মানি জরিমানা করা হবে। পাশাপাশি আপত্তিকর ওই ঘটনার জন্য ধার্য করা অন্যান্য জরিমানাও দিতে হবে তাকে।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে জোকোভিচ ক্ষমা চেয়ে লিখেছেন, ‘এই গোটা ঘটনায় আমি সত্যিই দুঃখিত এবং নিঃস্ব অনুভব করছি। আমি লাইন জাজের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ কারণ আয়োজকরা আমাকে জানিয়েছেন যে, তিনি বেশ ভালো বোধ করছেন। তাকে যন্ত্রণা দেওয়ায় আমি অত্যন্ত দুঃখিত। এটা অনিচ্ছাকৃত হলেও ভুল ছিল।’
এদিকে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় তারকা পতন ঘটেছে নারী এককেও। যুক্তরাষ্ট্রের জেনিফার ব্র্যাডির বিপক্ষে হেরে ইউএস ওপেনের শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিয়েছেন ২০১৬ আসরের চ্যাম্পিয়ন আঞ্জেলিক কেরবার। তবে কোয়ার্টার-ফাইনাল নিশ্চিত করেছেন নারী এককের আরেক সাবেক চ্যাম্পিয়ন নওমি ওসাকা।
এস্তোনিয়ার আনেত কনতাভেইতকে ৬-৩, ৬-৪ গেমে হারান ২০১৮ আসরের চ্যাম্পিয়ন ওসাকা। ২২ বছর বয়সী জাপানের এই চতুর্থ বাছাই শেষ আটে লড়বেন যুক্তরাষ্ট্রের শেলবি রজার্সের বিপক্ষে। চেক রিপাবলিকের পেত্রা কেভিতোভাকে হারিয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠেন ২৭ বছর বয়সী শেলবি। তিনটি গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী কেরবারকে ৬-১, ৬-৪ গেমে উড়িয়ে প্রথমবারের মতো কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যামের কোয়ার্টার-ফাইনালে জায়গা করে নেন ২৮তম বাছাই ব্র্যাডি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।