Inqilab Logo

শনিবার, ০১ জুন ২০২৪, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মাস্ক ছাড়া বেরোলেই কফিন শাস্তি

কবর দেয়ার স্থান ফুরিয়ে আসছে জাকার্তায়

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০২ এএম

ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাকার্তার পনডক রাঙ্গন কবরস্থানে কবর দেওয়ার জায়গা ফুরিয়ে আসছে। অক্টোবরে এই গোরস্থানে আর কোনো লাশ দাফন করা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। কবরস্থানের ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা নাদি জানান, কবরস্থানের দক্ষিণে আর মাত্র সাত হাজার বর্গমিটার জায়গা খালি ছিল। এই জায়গায় এক হাজার ১০০ জনকে কবর দেওয়া যেতো। আগস্টে কবরস্থানে প্রতিদিন গড়ে ২৭টি লাশ দাফন করা হয়েছে। এখন কবরস্থানে আর মাত্র ৩৮০ থেকে ৪০০ মৃতদেহ দাফন করার মতো জায়গা খালি আছে। তিনি বলেন, ‘মধ্য অক্টোবরেই স্থান সংকুলান জটিল হয়ে পড়বে।’ নাদি বলেন, ‘৩১ আগস্ট ৩৬টি লাশ দাফন করা হয়েছে, যা মার্চে আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর এক দিনে সর্বোচ্চ।’ মার্চে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মৃতদের দাফনের জন্য পনডক রাঙ্গন কবরস্থান প্রস্তুত করা হয়। আগস্ট পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ আটটি নতুন প্লটে দুই হাজার ৬২৩টি মৃতদেহ দাফন করা হয়। অপরদিকে, কফিনের মধ্যে শুয়ে আছে জীবন্ত এক মানুষ। তারই ছবি তুলতে ব্যস্ত উৎসুক জনতা ও গণমাধ্যমকর্মীরা। ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে মাস্ক না পরায় হাতেনাতে ধরা পড়ে ওই ব্যক্তি। শাস্তি হিসেবে তাকে প্রতীকী কফিনে শুইয়ে রাখে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা। করোনার সংক্রমণ না কমলেও কিছু মানুষের মধ্যে সচেতনতার এতই অভাব যে, মাস্ক ছাড়াই বাইরে বের হচ্ছে। মানছে না স্বাস্থ্যবিধিও। এ ধরনের মানুষকে এক অভিনব কৌশল প্রয়োগ করছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তার একটি এরটি এলাকার কর্তৃপক্ষ। মাস্ক ছাড়া কাউকে রাস্তায় পেলেই ধরে শোয়ানো হচ্ছে কফিনে। এরপর গুনতে বলা হচ্ছে ১ থেকে ১০০। করোনা মহামারীর শুরু থেকেই অনেক দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে মাস্ক ব্যবহারের প্রতি এক ধরনের অনীহা দেখা গেছে। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, জার্মানিসহ বেশ কয়েকটি দেশে মাস্কের বিরুদ্ধে বিক্ষোভও হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র আর ব্রাজিলের খোদ রাষ্ট্রপ্রধানরাই মাস্ক পরার বিপক্ষে। ছবি ও ভিডিও শেয়ারের সামাজিক মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে বিবিসির এক পোস্টে জানানো হয়, মাস্কের প্রতি মানুষের অনীহার এ সমস্যা মোকাবেলায় ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার পূর্বাঞ্চলীয় কালিসারি এলাকার কর্তৃপক্ষ কফিনে শোয়ানোর অভিনব কৌশলটি নিয়েছে। ইস্ট জাকার্তা পাবলিক অর্ডিনেন্স এজেন্সির প্রধান বুধি নোভিয়ান সাংবাদিকদের বলেন, এতে ওই মানুষরা এবং কফিনের আশপাশ দিয়ে যাওয়া অন্য মানুষরা সচেতন হবেন বলে তারা মনে করছেন। বিবিসি, এএফপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কফিন-শাস্তি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ