পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুর্নীতি, লুটপাটের কারনে দেশের অর্থনীতি রসাতলে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, তাদের (আওয়ামী লীগ) লক্ষ্য একটাই টাকা বানাও, দুর্নীতি করো, মেগা প্রজেক্ট করো, মেগা লুট করো। জিয়াউর রহমান ও সাইফুর রহমান অর্থনীতিকে যে শক্ত ভিতের ওপরে দাঁড় করিয়ে গিয়েছিলেন সেটাকে এখন টেনে রসাতলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অনির্বাচিত সরকারের নেতৃত্বে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।
গতকাল রোববার সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘এম সাইফুর রহমান স্মৃতি পরিষদ’ আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক হ্যাকর্ড হয়ে গেলো। প্রায় ৮‘ম মিলিয়নস গেলো, কি হয়েছে? কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হয়েছে, কারো কোনো শাস্তি হয়েছে? স্টক মার্কেট থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাঁচার করে নিয়ে চলে গেলো। বড় বড় প্রতিবেদন আসলো সেই প্রতিবেদন প্রকাশ করতে পারলেন না আগের অর্থমন্ত্রী মুহিত সাহেব। বললেন, এদের হাত অনেক লম্বা- নাম বলা যাচ্ছে না। ব্যাংকগুলো একটা পর একটা লোপাট-সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা, চার হাজার কোটি টাকা পাঁচ হাজার কোটি টাকা..। এমনকি ওই সময়ে সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিত সাহেব বললেন সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা এমন কোনো টাকা নয়।
তিনি বলেন, আজকে একজন ব্যাংকের চেয়ারম্যান, তিনি জনতার মঞ্চের নেতা ছিলেন, একটা নতুন ব্যাংকও তৈরি করেছিলেন, কয়েকদিন আগে দেখলাম যে, সেই ব্যাংকের এমডি কারাগারে। সেই ব্যাংকের থেকে তিনি এর মধ্যেও ২ হাজার কোটি টাকা নিয়েছেন। এই সমস্ত ঘটনা ঘটছে। আজকে পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে রসাতলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এম সাইফুর রহমানকে ‘বিপ্লবী সংস্কারক’ হিসেবে অভিহিত করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, অনেক সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন যেটা খুব পপুলার ছিলো না। ভ্যাট চালু করেছিলেন, এটা কিন্তু ওই সময় পপুলার ঘটনা ছিলো না। অনেক অর্থনীতিবিদও ওই সময়ে সমালোচনা করেছিলেন। তিনি পরিবর্তনের বাংলাদেশ নির্মাণ করে গেছেন। তিনি একটা বাসকেট কেইসকে সাকসেসে নিয়ে এসছেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ছিলেন স্বপ্নদ্রষ্টা আর তার সৈনিক ছিলেন সাইফুর রহমান সাহেব।
মির্জা ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাবেক যুবদল নেতা কাইয়ুম চৌধুরীর পরিচালনায় এই ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌর সভার চেয়ারম্যান জি কে গউছ, যুক্তরাজ্য বিএনপি শাখার সভাপতি এম এ মালেক এবং মরহুম সাইফুর রহমানের ছেলে সাবেক এমপি এম নাসের রহমান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।