Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নারায়ণগঞ্জ মসজিদে বিস্ফোরণে নিহত ইমামের লাশ মুরাদনগরের গ্রামে বাড়িতে দাফন

দেবীদ্বার (কুমিল্লা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১:১৪ পিএম

নায়ায়নগঞ্জের পশ্চিম তল্লা এলাকায় বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুল মালেক নেছারীর (৬০) লাশ কুমিল্লার মুরাদনগরে দাফন করা হয়েছে। গতকাল রবিবার সকালে উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের পুটিয়াজুরি গ্রামের কবরস্থানে ওই লাশ দাফন করা হয়।

শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত মাওলানা আব্দুল মালেক নেছারী পুটিয়াজুরি গ্রামের মৃত আব্দুস সোবহানের ছেলে। নিহতের বৃদ্ধ মা, স্ত্রী, ২ ছেলে ও ১ মেয়েসহ অনেক স্বজন ও শুভাকাঙ্খি রেখে গেছেন। নিহতের লাশ গ্রামের বাড়ি আসছে এমন খবরে আশ-পাশের কয়েক গ্রামের সহস্রাধিক লোক তাকে এক নজর দেখার জন্য জড়ো হয়।
নিহতের বৃদ্ধ মা কমলা খাতুন (৮২) অশ্রুসজল চোখে বলেন, দীর্ঘ ২২/২৩ বছর যাবত আমার ছেলে ওই মসজিদে ইমামতি করতেন। জীবনের শেষ সময়ে এসে আমার প্রাণপ্রিয় ছেলের এমন মর্মান্তিক দূর্ঘটনায় মৃত্যু দেখতে হবে কল্পনাও করি নাই। মনে হচ্ছে আমার উপর আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে। আপনারা সকলে আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতবাসী করেন।
পুটিয়াজুরি গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মুক্তিযোদ্ধা আলী আহাম্মদ বলেন, মাওলানা আব্দুল মালেক নেছারী যদিও স্বপরিবারে নারায়নগঞ্জ বসবাস করতেন তবুও তিনি এলাকার সাধারণ মানুষ ও সামাজিক কর্মকান্ডে সহযোগিতা করতেন। ছাত্রজীবন থেকে তিনি ছিলেন ভদ্র ও বিনয়ী গুণের অধিকারী। আকস্মিক দূর্ঘটনায় তাঁর মর্মান্তিক মৃতুতে এলাকায় শোকের বাতাস বইছে।
তাঁর দাফন কাজে অংশ নেওয়া স্বাস্থ্য কর্মী আবুল কালাম আজাদ ও সিএইচসিপি সুমন সরকার বলেন, সরকারের স্বাস্থ্য বিধি মেনে নিহতের দাফন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তিনি গ্রামের সব শ্রেণি পেশার মানুষের দু:খ-দূর্দশায় এগিয়ে আসতেন। তাই তাঁর মৃত্যুতে সকলেই শোকাহত।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাতে নায়ায়নগঞ্জের পশ্চিম তল্লা এলাকায় বায়তুস সালাত জামে মসজিদে এশার নামাজ পড়ার সময় বিস্ফোরণ ঘটে। ভয়াবহ এ বিস্ফোরণে মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনসহ গুরতর অগ্নিদগ্ধ ৩৭ জনকে জরুরী ভিত্তিতে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। তাঁদের মধ্যে গত শনিবার রাত ১০টা পর্যন্ত ২১জন মারা যায়। বাকীদের অবস্থাও আশংকাজনক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মসজিদে বিস্ফোরণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ