Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দগ্ধ ৫ জনের অবস্থা উন্নতির দিকে

নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন সিআইডির

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে | প্রকাশের সময় : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা এলাকায় বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনার মামলাটি পেশাগত সর্বোচ্চ দক্ষতা দিয়ে তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে প্রতিবেদন দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিআইডির ডিআইজি মাইনুল হাসান। গতকাল দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিনি একথা জানান। এসময় তার সাথে ছিলেন সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন।

সিআইডির ডিআইজি মাইনুল হাসান বলেন, গ্যাস পাইপ লাইনের লিকেজ থেকে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এ ঘটনায় গঠিত পাঁচটি সংস্থার তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পর্যবেক্ষণ করে সিআইডি চ‚ড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করবে। যারা এই ঘটনায় দোষী প্রমাণিত হবে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দ্রæত প্রতিবেদন দাখিল করার কথাও জানান তিনি।

গত ৪ সেপ্টেম্বর এশার নামাজ চলাকালে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার পশ্চিম তল্লা এলাকায় বাইতুস সালাত জামে মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় দগ্ধ ৩৮ জনকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হলে এ পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাঁচজনকে এখনো সেখানে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
বিস্ফোরণের একদিন পর ফতুল্লা থানা পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। মামলাটির অধিক তদন্তের জন্য গত বুধবার সিআইডি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, তিতাস, ডিপিডিসি ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন থেকে গঠিত পৃথক পাঁচটি কমিটি তদন্ত অব্যাহত রেখেছে।

এদিকে, বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ পাঁচ জন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা উন্নতির দিকে, তবে তারা শঙ্কামুক্ত নন বলে জানান ওই হাসপাতালের আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শংকর পাল। গতকাল বেলা সোয়া ১১টার দিকে সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি।

ডা. পার্থ বলেন, নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় যে পাঁচ জন আইসিইউতে রয়েছেন। তাদের কেউই শঙ্কামুক্ত নন। তবে তাদের শারীরিক অবস্থা আগের চাইতে কিছুটা উন্নত। কিন্তু শ্বাসনালি দগ্ধ হওয়ায় তাদের শঙ্কামুক্ত বলা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, সারাবিশ্বে দগ্ধদের যে চিকিৎসা দেয়া হয়, এখানেও একই ধরনের চিকিৎসা হচ্ছে। তাদের চিকিৎসার কোন ঘাটতি হচ্ছে না। আপনারা জানেন প্রধানমন্ত্রী সবসময় দগ্ধদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। গত শুক্রবার রাতেও তিনি দগ্ধদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিয়েছেন।

বর্তমানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন- ময়মনসিংহের ত্রিশালের আবদুর রহমানের ছেলে ফরিদ (৫৫), পটুয়াখালীর চুন্নু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ কেনান (২৪), নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার নিউখানপুর ব্যাংক কলোনির আনোয়ার হোসেনের ছেলে রিফাত (১৮), শরীয়তপুরের নড়িয়া কেদারপুর গ্রামের মনু মিয়ার ছেলে আবদুল আজিজ (৪০) এবং নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসিরহাট গ্রামের আবদুল আহাদের ছেলে আমজাদ (৩৭)।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মসজিদে বিস্ফোরণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ