বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার পশ্চিম তল্লা বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে এ পর্যন্ত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। একে একে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মুসল্লিদের লাশ। স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে আশপাশের পরিবেশ।
শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল পর্যন্ত ১২ জনের মরদেহ নারায়ণগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একে একে সবার মরদেহ মাঠে রাখা হয়। রাত ১০টা পর্যন্ত এক শিশুসহ ১০ জনের জানাজা শেষ হয়েছে। জানাজা শেষে তাদের দাফন করা হয়। চোখের জলে প্রিয়জনকে দাফন করেন স্বজনরা।
সন্ধ্যা ৬টায় জানাজা শেষে এক শিশুকে দাফন করা হয়। পরে কুদ্দুস ব্যাপারীর জানাজা হয়। কিছুক্ষণ পর তাকেও দাফন করা হয়। মাগরিবের নামাজের পর আরও দুইজনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয় স্থানীয় খেলার মাঠে। এরপরও একই মাঠে আরও ছয়জনের জানাজা হয়। পরে নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে তাদের লাশ নিয়ে যাওয়া হয়। এ পর্যন্ত ১০ জনের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।
এর আগে বিকেল থেকে একে একে নিহতদের মরদেহ ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকায় নিয়ে আসা হয়। ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা বোমওয়ালার বাড়ির খেলার মাঠে নিহতদের জানাজার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে অনেকগুলো খাটিয়া। গোসল ও জানাজা শেষে মরদেহ দাফন করেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণে শনিবার রাত পর্যন্ত শিশুসহ ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। একসঙ্গে এতগুলো মানুষ মারা যাওয়ায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাদের মৃত্যুতে পুরো এলাকায় কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। একই সঙ্গে শনিবার এলাকার সব দেকানপাট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে।
নিহতদের মরদেহ গ্রহণ করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক। জানাজা শেষে মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন ইউএনও। এ সময় নিহতদের পরিবারের সদস্যদের হাতে ২০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।