মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
২০১৫ সালের চুক্তিতে থাকা নির্দিষ্ট সীমার চেয়ে '১০ গুণ' বেশি ইউরেনিয়াম ইরান মজুদ করেছে বলে দাবি করেছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের পরমাণু বিষয়ক সংস্থা বলছে, আন্তর্জাতিক সমঝোতা চুক্তিতে যে পরিমাণ ইউরেনিয়াম থাকার কথা ইরান তার চেয়ে অন্তত ‘দশ গুণ’ বেশি ইউরেনিয়াম মজুদ করেছে।
ইউরেনিয়াম পারমাণবিক বোমা তৈরিতে ব্যবহার করা হয়, তবে ইরান সবসময় দাবি করছে যে তার পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহারের জন্য।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, দ্যা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সির পরিদর্শকেরা এরই মধ্যে একটি স্থাপনা পরিদর্শন করেছেন এবং আরেকটি স্থাপনা চলতি মাসেই পরিদর্শন করা হবে বলে তেহরানের সঙ্গে কথা হয়েছে। এর আগে এই আন্তর্জাতিক সংস্থা অভিযোগ করেছিল, ইরান আইএইএকে না জানিয়ে তার দুটি স্থাপনায় পারমাণবিক তৎপরতা চালাচ্ছে।
গত বছর ইরান প্রকাশ্যে ঘোষণা করে যে তারা আন্তর্জাতিক পারমাণবিক চুক্তির আওতায় সব নিয়মনীতি মানার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। ২০১৫ সালে ইরান, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র ওই চুক্তিতে সই করে। এর মধ্যে অনুমোদনের তুলনায় আরও সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন অন্তর্ভুক্ত ছিল; যদিও পারমাণবিক অস্ত্রে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় সমৃদ্ধির মাত্রার চেয়ে এটি অনেক নিচে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন এই চুক্তি ত্যাগ করেছিলেন, তখন মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার ক্ষেত্রে ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের পদক্ষেপ নেয়।
পারমাণবিক কর্মসূচির বিষয়ে সমঝোতা থেকে আমেরিকার একতরফাভাবে বেরিয়ে যাওয়া এবং এতে দেওয়া নিজেদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে ইউরোপের ব্যর্থতার জের ধরে গত বছর ইরান ধাপে ধাপে এই সমঝোতায় নিজের দেওয়া প্রতিশ্রুতি হ্রাস করে। একপর্যায়ে তেহরান ঘোষণা করে, এতে দেওয়া সব প্রতিশ্রুতি আপাতত স্থগিত রাখতে বাধ্য হচ্ছে ইরান।
এর আগে বিবিসির খবরে জানানো হয়, পারমাণবিক চুক্তি অনুযায়ী, ২০৩১ সাল পর্যন্ত ইরানকে কেবল স্বল্প মাত্রার ইউরেনিয়াম উৎপাদনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যার মাত্রা হবে ৩ থেকে ৪ শতাংশ।
পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে যে পরিমাণ ইউরেনিয়াম লাগে, এর মাত্রা ৯০ শতাংশ বা তার বেশি। এ ছাড়া চুক্তি অনুযায়ী, ইরান সমৃদ্ধ করা ইউরেনিয়াম ৩০০ কেজির বেশি রাখতে পারবে না। এ ছাড়া ইরান ১৩০ টনের বেশি ভারী পানি, যার মধ্যে সাধারণ পানির চেয়ে বেশি হাইড্রোজেন থাকে, সংরক্ষণ করতে পারবে না। সূত্র : বিবিসি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।