মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ ও চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী উই ফেঙ্গে। সম্মেলনের পরে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় সেখানেই মুখোমুখি বৈঠকে বসতে পারেন তারা। শুক্রবার ভারতের সরকারি সূত্রে এ কথা জানানো হয়েছে।
সামরিক স্তরে দফায় দফায় বৈঠক হলেও লাদাখ নিয়ে এখনও পর্যন্ত সমাধানে এসে পৌঁছতে পারেনি ভারত ও চীন। তাই এ বার বিষয়টি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে উদ্যোগী হল দেশ দুইটি। দু’দেশের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) কী ভাবে স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হবে দু’জনের মধ্যে। ভারত ও চীন, দুই দেশের প্রশাসনিক কর্তাদের মধ্যে লাদাখ নিয়ে এমন বৈঠক এই প্রথম। তাই বৈঠকে কি ফল হয়, সেদিকেই এখন তাকিয়ে কূটনৈতিক মহল।
জেনারেল উই ফেঙ্গে চীনেরা ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনীর কম্যান্ডার ছিলেন। বর্তমানে স্টেট কাউন্সিলরও তিনি। সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের সদস্যও।
চলতি বছরের মে মাসে লাদাখে দুই দেশের সেনা সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তার পর থেকে যত দিন গিয়েছে, উত্তেজনা ততই বেড়েছে সেখানে। জুন মাসে প্যাংগং হ্রদের তীরে সংঘর্ষও বাধে দু’পক্ষের মধ্যে। এলএসি-তে এখনও মুখোমুখি অবস্থান করছে দুই পক্ষ।
এমন অবস্থায় আলাপ-আলোচনার মাধ্যনেই সীমান্তের বিষয়টি মীমাংসা করা প্রয়োজন বলে দু’তরফেই দাবি উঠছিল। এ নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, ‘সীমান্তে যা ঘটবে, তার প্রতিফলন দেখা দেবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে। কূটনৈতিক পথেই সমাধান খুঁজতে হবে।’ ভারতে চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র জি রং জানান, ‘সীমান্তের বিষয়টির শান্তিপূর্ণ মীমাংসার জন্য বেশ কিছু দিন ধরে কথাবার্তা চালু রয়েছে। ভারত-চীন সীমান্তে যুক্তিগ্রাহ্য, ন্যায্য এবং উভয় পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য সূত্র বার করার জন্য চীন বরাবরই সক্রিয়।’
রাজনাথ সিং তিন দিনের সফরে এখন মস্কোয় রয়েছেন। এসসিও-র সদস্য হওয়ায় এই তিন দিনের বৈঠকে চীন এবং পাকিস্তানও থাকবে। কিন্তু, আগেই ঠিক হয়েছিল সেখানে পাকিস্তান ও চিনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠকে বসবেন না রাজনাথ সিং৷ লাদাখ ও কাশ্মীর নিয়ে বর্তমান উত্তেজনার আবহের কারণেই এই সিদ্ধান্ত। রাজনাথ ও উই ফেঙ্গের বৈঠক হলে তার পর আগামী ১০ সেপ্টেম্বর মস্কোয় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।