পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘ইতিহাস বিকৃতি’র অভিযোগ এনে চলচ্চিত্রকার দেলোয়ার জাহান ঝন্টুকে লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এটিএম মাকসুদুল হক ইমু এ নোটিশ দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, জনাব ঝন্টু পরিচালিত ‘বীর সৈনিক’ সিনেমায় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। পরিচালক নিজেই সিনেমাটির চিত্রনাট্য রচয়িতা এবং প্রযোজক। সিনেমাটিতে কোথাও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ করা হয়নি।মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন-মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে। এজন্য সিনেমাটির প্রচার ও প্রদর্শন স্থগিত চাওয়া হয়েছে নোটিশে। নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দাবি করে ইমু বলেন, ‘বীর সৈনিক’ সিনেমার কোথাও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ করা হয়নি।শুধু তাই নয়,মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এই সিনেমার কোথাও ৭ মার্চের উল্লেখ নেই। এসএস মাল্টিমিডিয়ার ইউটিউবে সিনেমাটি প্রকাশ করা হয়েছে। সিনেমায় অভিনেতা যখন ৭ মার্চের কথা বলেন, ঠিক সেখান থেকেই কিছু অংশ কেটে ফেলা হয়েছে। যা স্পষ্ট দৃশ্যমান এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
নোটিশে ইমু প্রশ্ন রেখে বলেন, ১৯৭১ সালে ৭ মার্চের কী কোনো গুরুত্ব ছিল না? নাকি ৭ মার্চ না এসেই হঠাৎ করে ২৬ মার্চ এসেছিল? এই সিনেমার সবচেয়ে বিকৃত ও বাজে দৃশ্য হলো,একটি জায়গায় অভিনেতা বলছেন, ‘চিটাগাং রেডিওতে আমাদের বাঙালি মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন।’ এর মানে পরিচালক বলতে চাইছেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া’! এটা কি ইতিহাসের বিকৃতি নয়? সিনেমাটির এই বিভ্রান্তিুমূলক অংশের জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মসহ তরুণ প্রজন্ম মারাত্মকভাবে বিভ্রান্তির শিকার হবে বলে আমি মনে করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।