Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উলিপুরে তিস্তার তীব্র ভাঙন

উলিপুর (কুড়িগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৩:৫০ পিএম

কুড়িগ্রামের উলিপুরে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথেই তিস্তা-ব্রহ্মপুত্র নদের তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। টানা কয়েকদিনের তিস্তুা নদীর ভাঙনে বসত-বাড়ীসহ কয়েকশ একর আবাদী জমি নদী গর্ভে চলে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়াও চরম হুমকির মুখে রয়েছে স্কুল, মাাদ্রাসা ও একটি কমিউনিটি ক্লিনিক সহ সরকারি-বেসরকরি বেসরকারি স্থাপনা। স্থানীয় লোকজন বাঁশ, গাছের গুড়ি ফেলে ভাঙন রোধে চেষ্টা করছেন। ভাঙন কবলিত পরিবারগুলো দিশেহারা হয়ে পড়েছে। ভিটে-মাটি হারিয়ে এসব মানুষ খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
সরেজমিনে উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের গোড়াইপিয়ার গ্রামের গিয়ে দেখা যায়, প্রতি মহুর্তেই ভেঙ্গে যাচ্ছে রোপা আমন ক্ষেত। ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষজন তাদের ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছে পার্শ্ববর্তি উচু স্থানে। দীর্ঘ বন্যার ধকল কাটতে না কাটতেই ভাঙনের শিকার মানুষজন দিশেহারা।
এসময় কথা হয়, ওই গ্রামের নুরল হকের সাথে হলে তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন,‘ হাল গিরস্ত সইগ আছিল বাহে, আইজক্যা মুই নিঃস্ব হয়া গেনু। এহন হামাক বাঁন্ধের আস্তাত যায়া থাকা নাগবে’। একই কথা বলেন, ওই গ্রামের আজিজার রহমান ,আবুল মালেক, জয়নাল আলী, মোস্তা মিয়াসহ অনেকে। তারা জানান, তিস্তার ভাঙনের এ গ্রামের মানুষ তাদের ঘর-বাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে নদের তীব্র ভাঙনে গোড়াইপিয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পিয়ারী দাখিল মাদরাসা, গোড়াইপিয়ার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ঝাঁকুয়াপাড়া, মন্ডলপাড়া, কুমারপাড়া, মুলাধোয়ারপাড় গ্রামসহ কয়েকটি গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক ঘর-বাড়ী সহ¯্রাধিক একর ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়াও উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদ অববাহিকার নীলকণ্ঠ, কুমারপাড়া, দাঁগার কুঠি, মাঝি পাড়া, পালেরঘাটসহ কয়েকটি এলাকায় অব্যাহত ভাঙন রয়েছে।
এদিকে, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন মন্টু, তিস্তা নদী রক্ষা জেলা কমিটির সহকারি অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সরদার,থেতরাই ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী সরকার ভাঙন কবলিত গোড়াইপিয়ার এলাকা পরিদর্শন করে ভাঙনরোধ ও সহায় সম্বলহীন পরিবার গুলোকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
কুড়িগাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌলী মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি, দ্রুত ভাঙন কবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভাঙ্গন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ