নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
মোহাম্মদ হাফিজের ঝড়ে বড় সংগ্রহ পাওয়ার পর ম্যাচ দুলছিল দু’দিকেই। রান তাড়ায় ইংল্যান্ডকে শুরুতে টম ব্যান্টন আর শেষে মঈন আলী ঝড় তুলে দিচ্ছিলেন জেতার আভাস। হাতে ৪ উইকেট নিয়ে শেষ দুই ওভারে ২০ রান দরকার ছিল স্বাগতিকদের। কিন্তু ওয়াহাব রিয়াজ, শাহীদ আফ্রিদিরা শেষটায় এসে দেখান ঝলক। পাকিস্তানকে এনে দেন দারুণ জয়। বৃষ্টিতে প্রথম ম্যাচ ভেসে যাওয়ার পর বাকি দুই ম্যাচে একটি করে জিতে সিরিজ সমতায় শেষ করে দু’দল।
ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি রোমাঞ্চটি পাকিস্তান জিতেছে ৫ রানে। আগে ব্যাট করে সফরকারীদের করা ১৯০ রানের জবাবে ইংল্যান্ড থেমে যায় ১৮৫ রানে। ৩২ রানে ২ উইকেট হারানো দল এরপর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় হায়দার আলি ও হাফিজের ব্যাটে। তৃতীয় উইকেটে দু’জনে মিলে যোগ করেন ১০০ রান। ৩৩ বলে ৫৪ রান করে হায়দার আউট হলেও একা দলকে টানতে থাকেন হাফিজ। ৩৯ পেরুনো অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান আর আউট হননি। ৫২ বলে ৬ ছক্কা আর ৪ বাউন্ডারিতে ৮৬ রানে অপরাজিত থেকে দলকে নিয়ে যান দুশোর কাছে। ওই বড় প‚ঁজি নিয়েই শেষ পর্যন্ত বোলাররা দলকে এনে দিতে পেরেছেন রোমাঞ্চকর জয়।
গত ফেব্রæয়ারিতেই পাকিস্তানের হয়ে অন‚র্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলেছে হায়দার। সেখানে প্রতিভার জানান দেওয়ার পর আলো ছড়িয়েছেন পাকিস্তান সুপার লিগেও। এবার আন্তর্জাতিক অভিষেকে খেললেন দারুণ। পাকিস্তানের হয়ে টি-টোয়েন্টি অভিষেকে ফিফটির প্রথম নজির গড়েন এ ডানহাতি। ম্যাচসেরা হাফিজের কণ্ঠে ম্যাচের পর উঠে এলো হায়দারের প্রশংসা, ‘চাপের মধ্যে সে দারুণ খেলেছে এবং নিজেকে মেলে ধরেছে। আমি ¯্রফে তাকে বলছিলাম নিজের ওপর আস্থা রাখতে, বলছিলাম যে, ‘তুমি ভালো খেলছো, এভাবেই চালিয়ে যাও।’ এটা দারুণ যে আমাদের সিস্টেম থেকে তরুণরা উঠে আসছে এবং পারফর্ম করছে।’
৪০ ছুঁইছুঁই বয়সী হাফিজের জন্যও এই সিরিজ ছিল বড় একটা চ্যালেঞ্জ। তাকে দলে নেওয়ার সমালোচনা ছিল অনেক। তার অবসরের ডাকও উঠেছে পাকিস্তানের ক্রিকেটে। কিন্তু নিজেকে তিনি নতুন করে প্রমাণ করেছেন এই সিরিজে। শেষ ম্যাচের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের আগে দ্বিতীয় ম্যাচে করেছিলেন ৩৬ বলে ৬৯। সিরিজের সেরা তিনিই। হাফিজের প্রতিক্রিয়ায় অবশ্য দলের জয়ে অবদান রাখতে পারার ব্যাপারটিই উঠে এলো মুখ্য হয়ে, ‘দলের প্রয়োজনের সময় পারফর্ম করতে পেরে আমি খুশি। পাকিস্তান দলের সবাই চেষ্টা করছে পাওয়ার হিটিংয়ে উন্নতি করতে। প্রতিটি ম্যাচেই আমি চেষ্টা করি শতভাগ দিতে এবং পাকিস্তানের সম্মানের জন্য খেলতে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।