মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্রতিবছর বিশ্বের প্রায় এক কোটি ২০ লাখ মেয়ের বয়স ১৮ হওয়ার আগেই বিয়ে হয়ে যায়। করোনার কারণে আগামী দুই বছরে ৪০ লাখ মেয়ে বাল্যবিয়ের শিকার হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে দাতব্য প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড ভিশন। এছাড়া আগামী এক দশকে অতিরিক্ত আরো এক কোটি ৩০ লাখ মেয়ে বাল্যবিয়ের শিকার হতে পারে বলে গতমাসে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল জাতিসংঘ। বাল্যবিয়ে ঠেকাতে কাজ করা ১,৪০০-র বেশি সংস্থার বৈশ্বিক সংগঠন ‘গার্লস নট ব্রাইডস’ বলছে, তাদের সদস্য সংস্থাগুলো খুবই উদ্বিগ্ন।
নভেল করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে এশিয়াজুড়ে বাল্যবিবাহের শিকার হচ্ছে বিদ্যালয়গামী হাজারো মেয়ে। মূলত করোনার কারণে অর্থনৈতিক সংকটে থাকা পরিবারগুলো একরকম বাধ্য হয়েই তাদের মেয়েদের বাল্যবিবাহ দিচ্ছে। সমাজকর্মীরা বলছেন, গত কয়েক বছরে বাল্যবিবাহ রোধে যে অগ্রগতি হয়েছিল, করোনাকালে তা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। খবর এএফপি।
ইন্দোনেশিয়া, ভারত, পাকিস্তান ও ভিয়েতনামে বাল্যবিবাহ একটি বহু পুরনো সামাজিক সমস্যা। তবে বিগত সময়ে সরকার ও বিভিন্ন সংস্থার গৃহীত পদক্ষেপের মাধ্যমে এসব দেশে শিক্ষার পাশাপাশি নারী স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে রেখেছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। কিন্তু এ অগ্রগতির পথে নতুন করে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে নভেল করোনাভাইরাসের আর্থিক ও সামাজিক প্রভাব। আয়ের উৎস হারিয়ে সন্তানদের ভরণ-পোষণে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে পরিবারগুলোকে। আর পরিস্থিতিতেই ফের যেন মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে মেয়েদের বাল্যবিবাহ।
জাতিসংঘ বলছে, ভাইরাসের সংক্রমণজনিত অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব মোকাবেলায় জরুরি পদক্ষেপ নেয়া না হলে আগামী এক দশকে অতিরিক্ত ১ কোটি ৩০ লাখ শিশু বাল্যবিবাহের শিকার হবে। এরই মধ্যে এশিয়ায় কয়েক লাখ শিশু করোনাকালে বাল্যবিবাহে বাধ্য হয়েছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা।
ভারতের ওয়ান স্টেপ টু স্টপ চাইল্ড ম্যারেজের পরিচালক রোলি সিং বলেন, লকডাউনের সময়ে ভারতে বাল্যবিবাহের সংখ্যা বেড়েছে। সত্যি বলতে বহু মানুষ চাকরি হারিয়েছে। বহু পরিবার তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণেই হিমশিম খাচ্ছে। ফলে যাদের অনেকেই তাদের কম বয়সী মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দিচ্ছেন।
এদিকে সেভ দ্য চিলড্রেন এরই মধ্যে সতর্ক করেছে যে ভাইরাস পরিস্থিতিতে মেয়েদের ওপর সহিংসতা বাড়বে। একই সঙ্গে বাড়বে তাদের জোরপূর্বক বিয়ে দেয়ার ঘটনা। সর্বোপরি এ পরিস্থিতি খোদ ভাইরাসের থেকেও বড় ঝুঁকিতে পরিণত হবে। বিশেষ করে মেয়েদের বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের প্রধান অবলম্বন হলো শিক্ষা। কিন্তু লকডাউনের কারণে বহুদিন ধরেই বিদ্যালয়গুলো বন্ধ রয়েছে। আর ঠিক এ সুযোগেই মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দিচ্ছেন দরিদ্র পিতা-মাতারা। এক্ষেত্রে সব থেকে বেশি ভুক্তভোগী হচ্ছে বিশ্বের দরিদ্রতম অঞ্চলের মেয়েরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।