Inqilab Logo

রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মির্জাপুরে বংশাই নদীর ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বাড়িঘর হুমকিতে সেতু

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১:২৫ পিএম

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর পৌর এলাকায় বংশাই নদীর ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি, রাইসমিলসহ জনপথ। ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে নদীর ওপর নির্মিত আলহাজ একাব্বর হোসেন সেতু।
চলতি বছরের দীর্ঘ মেয়াদি বন্যার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে মির্জাপুর পৌর এলাকার বংশাই নদীর ভাঙনের চিত্র ফুটে উঠেছে। ইতিমধ্যে পুষ্টকামুরী পুর্বপাড়া (সওদাগড়পাড়া) এবং বাওয়ার কুমারজানী উত্তরপাড়ার বেশ কয়েকটি বাড়ি গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
পানি আরও নেমে গেলে এই ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে বলে ভুক্তভোগীরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
পুষ্টকামুরী পূর্বপাড়া বংশাই নদীর তীর ঘেঁষে প্রায় ২৫০টি পরিবারের বসবাস। এদের মধ্যে অধিকাংশ দরিদ্র শ্রেণির। তারা বেশির ভাগ পরিবারই ভ্রাম্যমাণ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। এবারের বন্যায় ওই পাড়ার প্রায় সব বাড়িতেই বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়। ফলে প্রায় শতাধিক পরিবার আশ্রয় নেয় সেতুর ওপর পলিথিনের ছাউনিতে।
বন্যার পানি নেমে যাওয়া শুরু করলেও ওই দরিদ্র পরিবারগুলোর ওপর নেমে আসে আরেক অভিশাপ। বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় তাদের আশ্রয়স্থলটুকুও হারিয়ে যেতে বসেছে।
একই সঙ্গে ওই এলাকায় অবস্থিত একটি রাইসমিল এবং বাওয়ার কুমারজানী উত্তরপাড়াও নদী ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে।
এদিকে নদী ভাঙনের ফলে বংশই নদীর ওপর নির্মিত আলহাজ একাব্বর হোসেন সেতুও রয়েছে ঝুঁকিতে। সেতুর উত্তর ও দক্ষিণ দুই পাশেই শুকনো মৌসুমে ভেকু দিয়ে মাটি কাটা এবং বর্ষা মৌসুমে বাংলা ড্রেজার দিয়ে বালি তোলার মহোৎসব চলে। এসব মাটি ও বালু লুটকারীদের প্রতিহত করা না গেলে সেতুটি হুমকির মধ্যে পড়বে বলে স্থানীয়রা বলছেন।
নদী ভাঙনের কবলে পড়া ওই পাড়ার বাসিন্দা মজিবর রহমান বলেন, বাওয়ার কুমারজানী উত্তরপাড়ার বিল্লাল হোসেন, বাবুল হোসেন ও মন্টু মিঞা জানান, বন্যার পানি কমতে শুরু করছে। কিন্তু তাদের বাড়িও আস্তে আস্তে নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এ থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে তিনি বলেন।

বাবুল বলেন, প্রতি বছর আমরা নদী ভাঙনের কবলে পড়ি। কিন্তু আমদের সহায়তায় কেউ এগিয়ে আসে না। খাবার দিয়ে অনেকে সাহায্য করলেও আমাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই রক্ষায় কোনো কাজ হচ্ছে না।
রাইসমিলের মালিক শওকত হোসেন বলেন, প্রতি বছর বর্ষা এলেই আতঙ্কে দিন কাটে। ভাঙন ঠেকানোর ব্যবস্থা না হলে মিলটি রক্ষা করা যাবে না।
মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল মালেক বলেন, ওই এলাকার নদী ভাঙন সম্পর্কে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে। তারা এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। সেতুটি যাতে হুমকির মধ্যে না পড়ে সেদিকে নজর রাখা হবে বলে তিনি বলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভাঙ্গন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ