পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যা প্রশ্রয় দিলে রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয়তা শেষ হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব। গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আ স ম রব বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে গুম করার সংস্কৃতি চালু হয়েছে। বাংলাদেশের গুমের ঘটনা বন্ধ করতে হেফাজতে থাকা ‘নিখোঁজ’ ব্যক্তিদের নিরাপদে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। তাদের অভিযোগ বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো সরকারের সমালোচকদের নিশানা করে অব্যাহতভাবে গুমের ঘটনা ঘটিয়ে চলছে। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত রাষ্ট্রে গুম ও বিচারবহির্ভ‚ত হত্যার মতো অপরাধ ক্রমাগত ঘটতে থাকলে এবং তার বিচার না হলে রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয়তাই শেষ হয়ে যাবে।
গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারগুলো ভয়াবহ সংকটে নিপতিত হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানসিক ও অর্থসংকটে পরিবারগুলো দিশেহারা। আইনগত জটিলতার কারণে সম্পদ থেকেও তারা সম্পদের ব্যবহার করতে পারছে না। স্বজনকে ফিরে পেতে শিশুরা আকুতি জানিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছে কিন্তু রাষ্ট্র নিষ্পাপ শিশুদের হাহাকারে কোন সাড়া দিচ্ছে না। বরং রাষ্ট্র গুম ও বিচারবহির্ভ‚ত হত্যাকান্ডকে দিনের পর দিন দায় মুক্তি দিয়ে যাচ্ছে। এ সর্বনাশা নীতি চলতে থাকলে সমাজ ক্রমাগত বর্বরদের দখলে চলে যাবে।
গুমের শিকার নিখোঁজ ব্যক্তিদের অবিলম্বে খুঁজে বের করার জন্য তিন দফা প্রস্তাবনা পেশ করা হয় জেএসডির পক্ষ থেকে। প্রস্তাবনাগুলো হল (১) বিচার বিভাগের নেতৃত্বে ‘স্বাধীন ও নিরপেক্ষ কমিশন’ গঠন, (২) গুম ও অপহরণের সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা, ও (৩) গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের যথাযথ পুনর্বাসন করা এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।