গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল (অব.) সি আর দত্ত (চিত্ত রঞ্জন দত্ত) বীর-উত্তম-এর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আজ মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে নেওয়া হয় সি আর দত্তের লাশ। সেখানে উপস্থিত রয়েছেন বীর উত্তম সি আর দত্তের তিন মেয়ে, ছেলে, মেয়ের জামাতা ও নাতি-নাতনিরা। এ সময় তাঁর লাশের প্রতি ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। সেনাবাহিনীর একটি দল সামরিক কায়দায় গান স্যালুট দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। তাঁকে দেওয়া হয় রাষ্ট্রীয় সম্মাননা।
পরে সি আর দত্তের লাশে শ্রদ্ধা নিবেদন করে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, বাংলাদেশ মহিলা ঐক্য পরিষদ, ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোট, লালবাগ পূজা থানা কমিটি।
ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে বেলা ১২টায় মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে রাজারবাগ বরদেশ্বরী শ্মশানে। সেখানে শেষকৃত্যানুষ্ঠানের আগে গান স্যালুটের মাধ্যমে সামরিক সম্মাননা জ্ঞাপন করা হবে সি আর দত্তের প্রতি।
গতকাল সোমবার সকালে এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তাঁর মরদেহ দেশে এসে পৌঁছায়। মরদেহ বিমানবন্দরে পৌঁছার পর এই বীর সেনানির কফিন জাতীয় পতাকা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। এর পর মরদেহ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নিয়ে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) হিমঘরে রাখা হয়।
পূর্বঘোষণা অনুসারে, আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টায় সিএমএইচ হিমাগার থেকে সি আর দত্তের লাশ বনানী ডিওএইচএসের ২ নম্বর সড়কের ৪৯ নম্বর বাসভবনে নেওয়া হয়। পরে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ঢাকেশ্বরী মন্দির চত্বরে নিয়ে যাওয়া হয় লাশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।