Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় গ্রীডের ঈশ্বরদী সাব-স্টেশনে গোলযোগে পশ্চিম জোনের ২১ জেলায় একযোগে বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৯ আগস্ট, ২০২০, ২:৫৩ পিএম

জাতীয় গ্রীডের ঈশ্বরদী সাব-স্টেশনে বড় ধরনের গোলযোগের কারেন সকাল ১০টা ১৪ মিনিটে দেশের পশ্চিম জোনের ২১টি জেলায় একযোগে বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বরিশাল ও খুলনা বিভাগ ছাড়াও ফরিদপুর অঞ্চল মিলিয়ে ২১টি জেলার প্রায় সাড়ে ৩ কোটি মানুষ টানা প্রায় দেড় ঘন্টা বিদ্যুৎ বিহীন ছিল। এ গোলযোগের কারনে বরিশাল,ফরিদপুর, খুলনা, ভোলা, ভেড়ামাড়া ও পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সবগুলো উৎপাদন ইউনিট একযোগে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম বিপর্যয় সৃষ্টি হয় দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরন ব্যবস্থায়।

বিদ্যুতের এ বিপর্যয়ের কারনে একুশ জেলার শিল্প ও ব্যবসা-বানিজ্যসহ টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থায়ও চরম সংকট সৃষ্টি হয়েছে। পশ্চিম জোনের উৎপাদন ইউনিটগুলো চালু করতে না পারায় দুপুর ২টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবারহ স্বাভাবিক হয়নি। ভাদ্রের দুঃসহ গরমে অস্বাভাবিক লোডসেডিং-এ জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। পশ্চিমজোনে প্রায় ১২শ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরিতে সরবারহ রয়েছে ৫শ মেগাওয়াটেরও কম।
শণিবার সকাল ১০টা ১৪ মিনিটে আকষ্মিকভাবেই দেশের ইষ্ট-ওয়েষ্ট ইন্টার কানেক্টরের মূল সাব-স্টেশন, ঈশ^রদীতে গোলযোগ সৃষ্টি হলে একযোগে পশ্চিম জোনের সব উৎপাদন ইউনিট সহ গ্রীড লাইন ও বিতরন ব্যবস্থায় ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসে। এ অবস্থায়ই পাওয়ার গ্রীড কোম্পানীর ঈশ^রদী সাব-স্টেশন ও খুলনা রিজিওনাল লোড ডেসপাসসেন্টার ছাড়াও বরিশাল, ফরিদপুর, মাদারীপুর ও কুষ্টিয়া গ্রীড সাব-স্টেশনগুলোর প্রকৌশলী ও কর্মীরা ‘অপরেশন ব্লাক আউট’ পদ্ধতিতে পরিস্থিতি সামাল দিতে একযোগে ঝাপিয়ে পড়েন।
তবে গোলযোগের মূল কেন্দ্রস্থল ঈশ^রদী সাব-স্টেশনে ব্রেকার ও বাজবার সহ গ্রীড লাইন কানেক্টরগুলো সম্ভব দ্রুততম সময়ের মধ্যে পূণর্বাশন করে পশ্চিম জোনের জাতীয় গ্রীড লাইনে সঞ্চালন ব্যবস্থা ফেরাতে এক ঘন্টারও বেশী সময় লেগে যায়। সকাল সাড়ে ১১টার পরে বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের গ্রীড সাব-স্টেশন সহ ৩৩ কেভি সাব-স্টেশনগুলোতে স্টেশনÑলোড চালু করা হয়। এরপর পরই পর্যায়ক্রমে কয়েকটি ১১ কেভি ফিডারের মাধ্যমে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ সরবরহ শুরু হলেও ব্যাপক ঘাটতির কারনে দুপুর ২টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলের সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবারহ পূণর্বাশন হয়নি। বরিশালে সামিট পাওয়ারের ১১০ মেগাওয়টের ইউনিট চালু হলেও ভোলা ২২৫ মেগাওয়াটের তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালুর চেষ্টা চলছিল। একইভাবে গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর ছাড়াও খুলনা ও ভেড়ামাড়ার পাওয়ার স্টেশনগুলো উৎপাদনে ফেরাতে সময় লাগছিল। ফলে পূর্বজোন থেকে সিমিত কিছু বিদ্যুৎ এনে পশ্চিম জোনের পরিস্থিতি সামাল দেয়া দুরুহ হয়ে পড়ছিল।
শণিবার সকালের এ বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারনে দেশের পশ্চিম জোনের ২১টি জেলার সাড়ে ৩ কোটি মানুষ চরম দূর্ভোগে পড়েন। দুপুর ২টায় এরিপোর্টে লেখা পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলের বেশীরভাগ এলাকায়ই বিদ্যুৎ সরবারহ পূণর্বাশন হয়নি। বরিশালে এ মূহুর্তে প্রায় ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদার বিপরিতে সরবারহ হচ্ছে মাত্র ২৫ মেগাওয়াটের মত।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিদ্যুৎ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ