পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টালিন সরকার : ‘বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি কিনা প্রশ্ন রেখে অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেছেন, সরকার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের হলে সুন্দরবন অংশে এভাবে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে এগিতে যেত না। উন্নয়নের নামে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থী।’ স্বনামধন্য মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামালের এ বক্তব্য প্রণিধানযোগ্য।
কবি সুফিয়া কামালের এই কন্যার পরিচিতির কোনো প্রয়োজন পড়ে না। তিনি কোন চিন্তা-চেতনা এবং ঘরানায় বিশ্বাসী তা সবার জানা। দেশের হাজার হাজার পরিবেশবাদী ‘রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র হলে সুন্দরবন ধ্বংস হবে’ চিৎকার করুন, শত লংমার্চ করুক, সভা সমাবেশ করে পুলিশের পিটুনিতে রক্তাক্ত হোক; তাদের সরকার বিরোধীর ‘তকমা’ দেয়া যায়। জামায়াত-শিবির-বিএনপির এজেন্টের সিল দেয়া যায়। ক্ষমতাসীন দলের অনুগত বিশিষ্টজনেরা টকশো’র নামে টিভিতে পাপেট শো’তে আওয়ামী লীগ বিদ্বেষী হিসেবে তাদের চিহ্নিত করতে পারেন।
কিন্তু বায়োডাটার কারণেই সুলতানা কামালকে ‘আওয়ামী লীগবিদ্বেষী’ তকমা মানুষ খাবে না। সেই সুলতানা কামাল যখন ভারতের স্বার্থে সুন্দরবনের পাশে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন তখন বুঝতে বাকি থাকে না পরিস্থিতি কত ভয়ঙ্কর। অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, রামপালে একটা বিদ্যুৎ কেন্দ্র না হলে ১০টা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করে বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা যায়। সুন্দরবন ধ্বংস হলে আরেকটা সুন্দরবন তৈরি করা সম্ভব নয়।
প্রকৃতিকে তার নিজস্ব গতিতে চলতে দেয়া উচিত। সুন্দরবন হলো এ দেশের মানুষের জন্য আল্লাহর আশীর্বাদ। সুনামী আর আইলার কথা মনে আছে? ২০০৭ সালের ১৮ নভেম্বর প্রলয়ংঙ্করী সুনামী আর ২০০৯ সালের ২৫ মে ভয়াবহ আইলা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হেনেছিল। সেই সুনামী আর আইলায় বঙ্গোপসাগরের আশপাশের কয়েকটি জেলায় শত শত মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। ফসলের ব্যাপক ক্ষতি ও হাজার হাজার গবাদি পশু-পাখি সাগরে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। ধ্বংস হয়েছে শত শত কোটি টাকার সম্পদ। বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কয়েকটি জেলা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হলেও খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা জেলার লাখ লাখ মানুষ ওই ধ্বংসলীলা থেকে বেছে গেছে শুধু সুন্দরবনের কারণে। সুন্দরবন ঢাল হিসেবে ওইসব জেলার লাখ লাখ মানুষের নিরাপত্তা দিয়েছে। সেই সুন্দরবনকে ধ্বংস করার ভারতীয় চক্রান্তের ফাঁদে পা দেয়ায় সুলতানা কামালসহ দেশের বিবেকবান মানুষের বিবেক কাঁদছে। সুন্দরবন রক্ষায় রামপালে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন। কয়েক দফায় ঢাকা থেকে রামপাল লংমার্চ, রোড মার্চ হয়েছে। সারাদেশে প্রতিবাদ সমাবেশ, মানববন্ধন হয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মানববন্ধন করে উন্নয়নের নামে সুন্দরবন ধ্বংসের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ৫ বছরের শিশু থেকে শুরু করে শত বছরের বৃদ্ধ পর্যন্ত ওইসব কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। সরকারের তল্পীবাহক হিসেবে পরিচিত বুদ্ধিজীবীদের বড় একটা অংশ এ দাবি সমর্থন করছেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা!
২০১৪ সালে তেলবাহী ট্যাংকার ডুবে সুন্দরবনের শ্যালা নদীর কয়েক কিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে জ্বালানি তেল। নদীর জোয়ার-ভাটার টানে তেলের বিস্তার ঘটে কয়েক কিলোমিটার। সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের শ্যালা নদীর মৃগমারী এলাকায় তলা ফেটে একটি তেলবাহী ট্যাংকার ডুবে যাওয়ায় এই বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়। ট্যাংকার ডুবির পর তেল বিস্তীর্ণ এলাকা ছড়িয়ে পড়ায় পরিবেশ প্রকৃতির বিপর্যয় ঘটে। অসংখ্য পশুপাখি, মাছ কুমির প্রাণ হারায়। সে তেল তোলার জন্য কয়েক দিন শত শত মানুষ কাজ করে। এ খবর সংগ্রহে দেশি ও আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় সাড়া পড়ে যায়। ওই জাহাজ ডুবিতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যসহ পানিতে থাকা প্রাণীর অপূরণীয় ক্ষতি হয়। গত দুই বছরে সুন্দরবনের আশপাশের নদ-নদীতে তেল নিয়ে ট্যাঙ্কার এবং কার্গো জাহাজ ডুবেছে অন্তত ৫ বার। এতে ধ্বংস হয়েছে ইরাবতি ডলফিনসহ নদীর বিভিন্ন প্রজাতির মাছ এবং বনের জীববৈচিত্র্য। রামপালে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করলে ভারত থেকে কয়লা আনা-নেয়া করা হবে ওই নদী পথেই। তখন বড় ধরনের বিপর্যয় ঠেকানো যাবে কি?
দেশে যখন ‘রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ হলে সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যাবে’ তোলপাড় শুরু; পরিবেশবিদ, মানবাধিকার কর্মী, ভূগোলবিদরা রাস্তায় নামেন। তখন বিদেশি বিশেষজ্ঞরাও সুন্দরবন সফর করে এ নিয়ে ‘পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর’ সার্টিফিকেট দেন; তখন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর আমন্ত্রণে তাঁর সঙ্গে বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলনের প্রতিনিধিরা গত বছরের ১৯ নভেম্বর রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প ও তৎসংলগ্ন সুন্দরবন এলাকা পরিদর্শন করেন। এই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন স্বনামধন্য অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, হাসান আজিজুল হক, সুলতানা কামাল, সৈয়দ আবুল মকসুদ, রাশেদা কে চৌধুরী, ড. ইফতেখারুজ্জামান, বদরুল ইমাম, অধ্যাপক এম এম আকাশ, শফিক উজ জামান, এম শামসুল আলম, খুশী কবির, আবদুল মতিন, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, অধ্যাপক মলয় ভৌমিক প্রমুখ। ঘুরে এসে তারা একটি প্রতিবেদন তুলে ধরেন। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়Ñ মানুষের আগ্রাসনে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দরবন ক্রমাগত সংকুচিত হচ্ছে। নির্মাণাধীন রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র সেই আগ্রাসনে নতুন মাত্রা সংযোজন করেছে এবং সুন্দরবনের জন্য হুমকির কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। রামপালে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ হলে কারখানার নির্গত কার্বন ও ছাইভস্মে আশপাশের বায়ু ও পানি দূষণ করবে। নির্গত গ্যাসে বিদ্যমান ভারি ধাতু, সালফার ও নাইট্রোজেন অক্সাইড ছড়িয়ে পড়ায় বিস্তীর্ণ এলাকার বায়ু দূষণ হবে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের বর্জ্য পানি দ্বারা আশপাশের নদী-নালায় হবে পানিদূষণ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বন্য প্রাণী রক্ষিত এলাকায় বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন নিষিদ্ধ। বাংলাদেশে লাল শ্রেণিভুক্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠান হওয়ায় বিদ্যুৎকেন্দ্র কেবল শিল্প এলাকা, শিল্পসমৃদ্ধ এলাকা বা ফাঁকা জায়গায় স্থাপিত হতে পারে। সরকার সুন্দরবনের চতুর্দিকে ১০ কিলোমিটার এলাকাকে ‘পরিবেশগত সঙ্কটাপন্ন’ এলাকা ঘোষণা করেছে। এ রকম এলাকায় (ক) প্রাণী বা উদ্ভিদের আবাসস্থল ধ্বংসকারী সব কার্যকলাপ, (খ) ভূমি এবং পানির প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য নষ্ট বা পরিবর্তন করতে পারে এমন সব কার্যকলাপ, (গ) মাটি, পানি, বায়ু ও শব্দদূষণকারী প্রতিষ্ঠান স্থাপন এবং মাছ ও অন্যান্য প্রাণীর জন্য ক্ষতিকারক যে কোনো কার্যাবলি নিষিদ্ধ। ২০১০ সালে সুন্দরবন এলাকার পশুর নদীকে অন্তর্ভুক্ত করে নদী ও খালের বেশকিছু এলাকা প্রাণী সংরক্ষণের স্বার্থে ‘বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য’ ঘোষণা করে সরকার। তেলবাহী ট্যাংকার ও মালবাহী কার্গো চলাচল অভয়ারণ্যের প্রাণীকুলের জন্য বিপজ্জনক হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে নৌপথ নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দেন। সুন্দরবন থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় এবং ১০ কিলোমিটারের মধ্যে না হওয়ায়, এই যুক্তিতে দহনকৃত কয়লার মান ও পরিমাণগত তারতম্য বিবেচনায় না নিয়ে কেবল ব্যবহৃত প্রযুক্তির কারণে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র সুন্দরবন-বান্ধব বলা যায় না। বিচার-বিশ্লেষণে ওই বিশিষ্টজনেরা মত দেন যে, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র সুন্দরবন ও সেখানকার জীববৈচিত্র্যের জন্য হবে অপূরণীয় ক্ষতিকর। কে শোনে কার কথা?
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের সবচেয়ে ক্ষতিকর বর্জ্য হবে এর দুই ধরনের কয়লা পোড়ানো ছাই। এখানে বছরে ৪৭ লাখ ২০ হাজার টন কয়লা পোড়ানো হবে। এতে ৭ লাখ ৫০ হাজার টন ফ্লাই অ্যাশ ও ২ লাখ টন বটম অ্যাশের বর্জ্য তৈরি হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে এই ফ্লাই অ্যাশ, বটম অ্যাশ, তরল ঘনীভূত ছাই বিপজ্জনক মাত্রায় আশপাশের পরিবেশদূষণ করবে। কারণ এতে আর্সেনিক, পারদ, সিসা, নিকেল, ভ্যানাডিয়াম, বেরিলিয়াম, ব্যারিয়াম, ক্যাডমিয়াম, ক্রোমিয়াম, সেলেনিয়াম, রেডিয়ামের মতো বিভিন্ন ক্ষতিকর ও তেজস্ক্রিয় ভারি ধাতু মিশে থাকে। এগুলো সুন্দরবন ও বনের পশু-পাখি গাছপালা তথা পরিবেশের ওপর বিপর্যয় ডেকে আনবে। শুধু কি তাই! কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে টারবাইন, জেনারেটর, কম্প্রেসার, পাম্প, কুলিং টাওয়ার, কয়লা পরিবহন, ওঠানো-নামানো ইত্যাদির কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও যানবাহন থেকে প্রকট শব্দদূষণ হয়। আর পরিবেশের জন্য আরেকটি হুমকি হচ্ছে রামপাল কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আমদানিকৃত কয়লা সুন্দরবনের ভেতর দিয়েই পরিবহন। সমুদ্রপথে বছরে ৪৭ লাখ ২০ হাজার টন আমদানি করা কয়লা প্রথমে বড় জাহাজে করে সুন্দরবনের ভেতরে আকরাম পয়েন্ট পর্যন্ত আনা হবে। তারপর আকরাম পয়েন্ট থেকে ছোট ছোট লাইটারেজ জাহাজে করে কয়লা পরিবহন করে প্রকল্প এলাকার বন্দরে নেয়া হবে। এতে করে সুন্দরবনের ভেতরে হিরণ পয়েন্ট থেকে আকরাম পয়েন্ট পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার নদীপথে বড় জাহাজে বছরে ৫৯ দিন এবং আকরাম পয়েন্ট থেকে রামপাল পর্যন্ত প্রায় ৬৭ কিলোমিটার পথ ছোট লাইটারেজ জাহাজে করে বছরে ২৩৬ দিন পরিবহন করা হবে। অতএব পরিবেশবাদীরা যে রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন তা খুবই ন্যায়সঙ্গত। উল্লেখ্য, ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের সময় যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয় সেখানে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং সঞ্চালনের একটি প্রস্তাব ছিল। এই প্রস্তাবের ভিত্তিতে ২০১২ সালে সুন্দরবনের পাশে রামপালে দুটি ৬৬০ ইউনিট মিলে মোট ১৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লাভিত্তিক তাপ-বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য ভারতের ন্যাশনাল থারমাল পাওয়ার করপোরেশনের (এনটিপিসি) সঙ্গে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তারও আগেই ২০১০ সালের ২৭ ডিসেম্বর কোনোরূপ পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণ না করেই ভারতের চাপে প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণের আদেশ জারি করা হয় এবং অবকাঠামো উন্নয়নের রূপরেখা চূড়ান্ত করা হয়। সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের প্রতিবাদে গতকাল সংবাদ সম্মেলন করে তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ বলেছেন, সুন্দরবনের সর্বনাশ করে ভারতের স্বার্থে রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকল্পের কাজ যত এগোবে, বাংলাদেশের মানুষের ভারতের প্রতি ক্ষোভ-ঘৃণা তত বাড়বে। বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের জনগণকে সুন্দরবন রক্ষায় এই প্রকল্প বাতিলে মাঠে নামতে হবে। প্রকল্পের নির্মাণ কাজ ভারতের স্বার্থে হচ্ছে। বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ, এমনকি আওয়ামী লীগের অধিকাংশ সমর্থক এই প্রকল্পের পক্ষে নয়।
সরকার দাবি করছে দেশের উন্নয়নের স্বার্থে রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে। আন্দোলনকারীসহ দেশের কোটি কোটি মানুষ বলছে ভারতের স্বার্থেই সুন্দরবনকে ধ্বংস করে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে। প্রশ্ন হলো কার বক্তব্য সঠিক? পরিবেশ দূষণের কারণে ভারত এই ধরনের বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প বাতিল করেছে সেখানে কেন আমরা সুন্দরবনের পাশে রামপালে এ ধরনের বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছি? এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাংলাদেশের জনগণে ও পরিবেশের জন্য আশীর্বাদ হবে না সর্বনাশ ডেকে আনবে সে প্রশ্নই এখন সর্বত্র।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।