পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে প্রাথমিকের পর বাতিল হয়ে গেছে চলতি বছরের অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটিও বৃদ্ধি করা হয়েছে আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত। কিন্তু এই সময়েও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া এবং এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসলে এইচএসসি, আলিম ও সমমানের পরীক্ষা এবং মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের কিভাবে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ করা যায় সে বিষয়ে বিকল্প মূল্যায়ন পদ্ধতি তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। গতকাল বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সাথে এক ভার্চুয়াল সভায় তিনি এই নির্দেশনা দেন।
গত ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি, আলিম ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে তা স্থগিত রয়েছে। এই ভাইরাসের কারণে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে গত ১৮ মার্চ থেকে। গতকাল সেই ছুটির মেয়াদ ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সরকার ইতোমধ্যে জানিয়েছে, মহামারীর কারণে এবার পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষা এবং অষ্টমের জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা হবে না। পঞ্চমের শিক্ষার্থীদের স্কুলে স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে জানানো হলেও অষ্টমের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে কী করা হবে, সে সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। মহামারী শুরুর আগেই এবারের এসএসসি পরীক্ষা হয়ে যাওয়ায় বিশেষ ব্যবস্থায় তাদের ফল ঘোষণা করে এখন অনলাইনে একাদশ শ্রেণির ভর্তি কার্যক্রম চলছে। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় টেলিভিশন ও অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে, কিন্তু শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ এখনও এর বাইরে রয়ে গেছে। এইচএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী পর্যায়ের উচ্চ শিক্ষার পথ নির্ধারিত হয়। সে কারণে বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং জটিল।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, এবার ১৪ লাখের মতো শিক্ষার্থীর উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া কথা। এরপর তারা স্নাতক পর্যায়ের লেখাপড়ায় যাবে। পরীক্ষা নেওয়া না গেলে বিকল্প মূল্যায়ন পদ্ধতি তৈরির ক্ষেত্রে ভবিষ্যতের ওই বিষয়গুলোও বিবেচনায় রাখতে হবে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, করোনা পরিস্থিতি যদি স্বাভাবিক না হয় সেক্ষেত্রে এইচএসসি পরীক্ষা এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণের বিষয়ে বিকল্প মূল্যায়ন পদ্ধতি কি হতে পারে সে বিষয়ে একটি প্রস্তাবনা তৈরি নির্দেশ দেন শিক্ষামন্ত্রী। এই প্রস্তাবনা তৈরি করে পরবর্তী সভায় উপস্থাপনের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ও জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অনলাইন কার্যক্রম আরো ফলপ্রসূ করার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এছাড়া সভায় করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে অথবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদেরকে উজ্জীবিত রাখতে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, মাদরাসা ও কারিগরি বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দদের নির্দেশ প্রদান করেন মন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনাকালীন ও করোনা পরবর্তী শিক্ষা ব্যাবস্থা নিয়ে কাজ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। করোনাকালীন ও করোনা পরবর্তী সময়ে শিক্ষা ব্যবস্থার কি ধরনের পরিবর্তন আনতে হবে তা নিয়ে কাজ চলছে।
এই সভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খানসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং মন্ত্রণালয়ের অধীন অধীন দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ যুক্ত ছিলেন।
জেএসসি-জেডিসি বাতিল: করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে প্রাথমিক সমাপনীর মতো জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষাও এবার হবে না। বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞতিতে বলা হয়, ২০২০ সালের জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা নিয়ে করণীয় জানতে চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এবারের জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে অষ্টমের শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হওয়ার ক্ষেত্রে কোন পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে সে বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বৃদ্ধি: করোনার কারণে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গত ১৮ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় এই ছুটি আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার। গতকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনার কারণে কওমি মাদরাসা ছাড়া দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।