নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : রিও অলিম্পিক গেমসে মহিলা আরচ্যারির র্যাঙ্কিং রাউন্ড পেরুলেও নিজ ক্যারিয়ারের সেরা স্কোরই তুলতে পারেননি বাংলাদেশের কৃতী আরচ্যার শ্যামলী রায়। অলিম্পিক গেমসের মতো বড় আসরে তুলনামূলক ভালো মনে হলেও বাস্তবিক ততটা ভালো করতে পারেননি তিনি। নিজ ক্যারিয়ারে অতীতের চেয়ে রিও’তে অনেক কম স্কোর করেন লাল-সবুজের এই নারী তীরন্দাজ। এর আগে দেশে ৬১৮ পয়েন্টই ছিল শ্যামলীর সেরা স্কোর। কিন্তু শুক্রবার অলিম্পিক গেমসে মহিলাদের আরচ্যারিতে ব্যক্তিগত রিকার্ভ বো ইভেন্টে তিনি ৬০০ স্কোর করেন। রিও’র সাম্বাড্রাম স্টেডিয়ামে প্রত্যাশিত স্কোর তুলতে না পারলেও চারবার নিশানা ভেদ করে র্যাঙ্কিং রাউন্ড টপকাতে পেরেছেন বাংলাদেশের শ্যামলী রায়। ফলে গেমসের অ্যালিমিনেশন রাউন্ডে (১/৩২) পৌঁছে গেলেন তিনি।
অ্যালিমিনেশন রাউন্ডে যাওয়া ৬৪ মহিলা আরচ্যারের মধ্যে শ্যামলীর জায়গা হয় ৫৩তম স্থানে। র্যাঙ্কিং রাউন্ড কোরিয়ার চয় মি সান ৬৬৯ স্কোর তুলে প্রথম, একই দেশের চ্যাং হাইজিন ৬৬৬ স্কোরে দ্বিতীয় এবং সতীর্থ কি বো বায়ে ৬৬৩ স্কোরে তৃতীয় স্থানে থেকে অ্যালিমিনেশন রাউন্ডে গেলেন। আগামীকাল বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় অ্যালিমিনেশন রাউন্ডে (১/৩২) লড়বেন তিনি। এই রাউন্ডে তার প্রতিপক্ষ র্যাঙ্কিং রাউন্ডে শুরু থেকে ১২তম স্থানে থাকা মেক্সিকান গেব্রিয়েলা বেয়ার্ডো। এই মেক্সিকানের সঙ্গে পরবর্তী অ্যালিমিনেশন (১/১৬) রাউন্ডের জন্য ক্রস পদ্ধতিতে খেলবেন র্যাঙ্কিং রাউন্ডে শেষের দিক থেকে ১২তম হওয়া শ্যামলী। আরচ্যারির ক্রস পদ্ধতি হলো, র্যাংকিং রাউন্ডে প্রথম স্থান অর্জনকারী অ্যালিমিনেশন রাউন্ডে (১/৩২) খেলেন সর্বশেষ ৬৪তম হওয়া তীরন্দাজের সঙ্গে। সেই হিসেবে ১২তম হওয়া গ্যাব্রিয়েলার সঙ্গে লড়াই হবে ৫৩তম স্থান অর্জনকারী শ্যামলী রায়ের।
এদিকে বাংলাদেশের কৃতি শুটার আব্দুল্লাহ-হেল বাকির অলিম্পিক শুরু হবে আগামীকাল (সোমবার)। এদিন বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ছয়টায় রিও অলিম্পিক শুটিং সেন্টার রেঞ্জে নামছেন তিনি। রিও অলিম্পিক শুটিংয়ে পুরুষদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেল ইভেন্টের বাছাই পর্বে খেলবেন বাকি। এ রাউন্ড টপকে পারলে লাল-সবুজের এই শুটার খেলবেন ফাইনাল রাউন্ডে।
বাংলাদেশের অন্য পাঁচ ক্রীড়াবিদের মতো এবারের অলিম্পিকে ওয়াইল্ড কার্ড নিয়েই খেলতে গেছেন দেশসেরা শুটার আবদুল্লা হেল বাকি। রিও অলিম্পিকে অংশ নেয়ার আগে তার সেরা সাফল্য ২০১৪ সালে গøাসগো কমনওয়েলথ গেমসে। এ আসরের ১০ মিটার এয়ার রাইফেল ইভেন্টে তিনি রৌপ্যপদক জিতে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেন। ওই সময় স্কটল্যান্ডের ব্যারি বারডন শুটিং সেন্টারে ১০ মিটার এয়ার রাইফেল ইভেন্টের ফাইনাল শুটঅফে ২০২.১ পয়েন্ট স্কোর করে অল্পের জন্য স্বর্ণ হাতছাড়া করেন বাকি। এ ইভেন্টে ভারতের কৃতি শুটার অভিনব বিন্দ্রা ২০৫.৩ পয়েন্ট স্কোর করে স্বর্ণ জিতে নেন। আর ১৮২.৪ স্কোর করে তখন ব্রোঞ্জপদক জিতেছিলেন ইংল্যান্ডের ড্যানিয়েল। গøাসগো কমনওয়েলথ গেমসে বাছাই পর্বে বাকির ছয় সিরিজের স্কোর ছিল ১০৩.৪, ১০৪.৮, ১০৩.৩, ১০৪.০, ১০২.৫ ও ১০২.০। কমনওয়েলথ গেমসে রুপা জয়ের সুবাদে অলিম্পিকে বাকিকে আশাবাদি অনেকেই। অন্তত তিনি বাছাই পর্ব পেরুতে পারবেন এমনটাই আশা বাংলাদেশের শুটিংবোদ্ধাদের।
এবারের অলিম্পিক গেমসে শুটিংয়ের ১৫ ইভেন্টে ৯৭টি দেশের ৩৯০ জন শুটার নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করতে রেঞ্জে নামবেন। যার মধ্যে ১০ মিটার এয়ার রাইফেল ইভেন্টে লড়বেন ৫৬ জন শুটার। আব্দুল্লাহ-হেল বাকীর ক্যারিয়ারে সেরা স্কোর ৬২৭/৬২৮ পয়েন্ট। কিছুদিন আগে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত বিশ্ব শুটিং চ্যাম্পিয়নশিপে ৬২২.৮ স্কোর করে ৩০তম হয়েছিলে তিনি। যদি রিওতে তিনি এ স্কোর ধরে রাখতে পারেন, তাহলে হয়তো অলিম্পিকের বাছাই পর্ব পেরিয়ে ফাইনাল রাউন্ডে পৌঁছে ইতিহাস গড়তে পারবেন বাকি। কারণ এর আগে বাংলাদেশের কোন শুটার এ যোগ্যতা অর্জন করতে পারেননি। যদিও অলিম্পিকে পদক জয় দূরূহ ব্যাপার। কারণ ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে রোমানিয়ার অ্যালিন মোলদিভিয়ানু ৭০২.১ স্কোর করে জিতেছিলেন স্বর্ণ। আর র্যাংকিংয়ের অষ্টম স্থানে থাকা ড্যানিশ শুটার মাগনুস বাকেনের স্কোর ছিল ৬৯১.৫ পয়েন্ট। সেখানে আব্দুল্লাহ-হেল বাকির ক্যারিয়ার সেরা স্কোর মাত্র ৬২৭/৬২৮ পয়েন্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।