পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কক্সবাজারে মা-মেয়েসহ পাঁচজনকে দড়িতে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনার তদন্ত পর্যবেক্ষণ করবেন হাইকোর্ট। বিষয়টি দৃষ্টিতে আনার পর গতকাল সোমবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের ডিভিশন বেঞ্চ এ কথা জানান। সুপ্রিম কোর্ট বারের অ্যাডভোকেট জেসমিন সুলতানা এবং জামিউল হক ফয়সাল আদালতের দৃষ্টিতে আনেন। গরু চুরির অভিযোগে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের এক গ্রামে মা, দুই মেয়ে ও এক ছেলেসহ পাঁচ জনকে দড়িতে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় রোববার।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার শান্তিরহাট এলাকার আবুল কালামের স্ত্রী পারভীন আক্তার, তার মেয়ে সেলিনা আক্তার, রোজিনা আক্তার, ছেলে আরমান ও পেকুয়া উপজেলার ছুট্টু নির্যাতনের শিকার হন। গত ২১ আগস্ট দুপুর ঘটনাটি ঘটে। ওইদিন জুমার নামাজের সময় একটি সিএনজি পহরচাঁদা এলাকায় অবস্থান করে। এ সময় সিএনজি চালক গাড়ি নষ্ট হয়েছে ভান করে মেরামত করতে থাকে। ওই সময় গাড়িতে কয়েকজন মেয়েকে দেখে কারও সন্দেহ হয়নি যে তারা গরুচোর। পরে ওই চোরের দল রাস্তার পাশে থাকা একটি গরু সিএনজি অটোরিকশায় তুলে নেয়। ঘটনাটি মোটরসাইকেল আরোহী এক যুবক দেখে ফেললে তাদের পিছু নেয়। এক পর্যায়ে সিএনজিটি রেললাইন এলাকায় কাদা মাটিতে আটকে গেলে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
এ সময় স্থানীয় লোকজন তাদের ধাওয়া দিয়ে ধরে ফেলে। দড়িতে বেঁধে প্রকাশ্যে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় স্থানীয় মাহমুদুল হক বাদী হয়ে গরু চুরির অভিযোগে চকরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় নির্যাতনের শিকার পাঁচজনকে আসামি করা হয়। পরে পুলিশ আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন। তবে গতকাল সোমবার তাদের জামিন দেয় আদালত। তবে নির্যাতনের ঘটনায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলামের জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।