গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
স্টাফ রিপোর্টার : গুলশান এলাকার নিরাপত্তায় আগামী ১০ আগস্ট থেকে চলাচলের জন্য ৩০টি এসি বাস নামানো হবে। যেখানে ভাড়া হবে রিকশার চেয়েও কম মাত্র ১৫ টাকা। এ ছাড়া ৫০০ রিকশা নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সীমিত করা হয়েছে প্রবেশ ও বহির্গমন পথ।
রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে গতকাল শনিবার আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক এ কথা জানান। ‘আবাসিক এলাকার ভূমি ও ভবন ব্যবহার : বর্তমান প্রেক্ষাপট ও ভবিষ্যৎ রূপরেখা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট (আইইবি) ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)।
আনিসুল হক বলেন, আমি টোটালি কনফিউজড। কারণ আইন বলছে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে, অন্যদিকে অনেক ইনভেস্টমেন্ট। তাই দু’টি বিষয়ই ভাবতে হচ্ছে। যদিও এসব রাজউক, সিটি কর্পোরেশনের সহায়তাতেই হয়েছে।
তিনি বলেন, গুলশান হামলার আগে থেকেই উচ্ছেদ অভিযান চলছে। তবে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীদের কাছে অনুরোধ করব এটা তাড়াহুড়ো করে করা যাবে না। কেননা, এতে এক লাখ লোক বেকার হয়ে যাবে। তাই যারা প্রতিষ্ঠান গড়েছেন, তাদের বলব আপনারা সিকিউরিটি নিশ্চিত করুন।
মেয়র বলেন, ইতোমধ্যে সব প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে তাদের প্রতিষ্ঠানের সামনে কোনো পার্কিং থাকতে পারবে না। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান বজলুল করিম চৌধুরী বলেন, রাজউক যেখানে আবাসিক এলাকা গড়েছে, সেখানে পরিকল্পনা করেই করা হয়। উত্তরা, গুলশানে তাই হয়েছে। তবে অবশ্যই রাজউকে দুর্বলতা, অক্ষমতা আছে। সেগুলো কাটিয়ে উঠতে হবে।
বক্তারা বলেন, ঢাকার সমস্যা ঢাকার না। সমগ্র বাংলাদেশের সমস্যা। সবকিছু যদি ঢাকাতেই থাকে লোক তো আসবেই। তাই নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা আইনের উপর আইন হওয়া দরকার। আইন পরিবর্তন সময়ের সঙ্গেই হয়। তবে বর্তমানে যে আছে, সেটারও প্রয়োগ ঠিকমত হয় না। এ বিষয়েও নজর দেয়া উচিত।
সা¤প্রতিক সময়ে অবৈধ উচ্ছেদ কার্যক্রম ঢালাওভাবে না করে পরিকল্পনা করে সময় নিয়ে সম্পন্ন করার সুপারিশও করেন অনেকে।
বক্তারা আরও বলেন, কোনটি আবাসিক আর কোনটি বাণিজ্যিক বা কোন আবাসিকে কি পরিমাণ বাণিজ্যিক ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হবে, তার জন্য আইন দরকার। বর্তমানে যে আইন আছে তা যুগোপযোগী নয়। যে কারণে প্রতিটি এলাকায় অবৈধ প্রতিষ্ঠান বেড়ে যাচ্ছে এবং সংশ্লিষ্ট আবাসিক এলাকা বসবাসের উপযোগিতা হারাচ্ছে। তাই ঢাকাকে ভোগ না করে উপভোগের শহর হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
সভায় অন্যদের মধ্যে আইএবি’র সভাপতি ড. আবু সাঈদ এম আহমেদ, বিআইপি’র সভাপতি ড. একেএম আবুল কালাম, অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ, তানজিব উল আলম, স্থপতি কাজী এম আরিফ, পরিকল্পনাবিদ আখতার মাহমুদ, নগর পরিকল্পনাবিদ ড. ইসরাত জাহান, স্থপতি সালাহ উদ্দিন আহমেদ, স্থপতি কাজী গোলাম নাসির, সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।