Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পরিসংখ্যানে লিসবনের ফাইনাল

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ আগস্ট, ২০২০, ১২:০১ এএম

সাত বছর পর আবারও ইউরোপ সেরা হওয়ার উৎসবে মেতেছে বায়ার্ন মিউনিখ। অনেক স্বপ্ন নিয়ে শেষ ধাপে এসে পিএসজির সঙ্গী হারের বিষাদ। পর্তুগালের লিসবনে গতপরশু রাতে কিংসলে কোমানের একমাত্র গোলে পিএসজিকে হারায় বায়ার্ন। এই জয়-পরাজয়ের মাঝে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের অনেক কিছুই পরিসংখ্যানের পাতায় আঁচড় কেটেছে।
ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতায় এ নিয়ে ষষ্ঠ এবং ২০১৩ সালের পর প্রথম শিরোপার স্বাদ পেল জার্মানির দলটি। প্রতিযোগিতাটির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি শিরোপা জয়ের তালিকায় তৃতীয় স্থানে লিভারপুলের পাশে বসেছে বায়ার্ন। ৭ শিরোপা নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে এসি মিলান। লিসবনের ফাইনালে এছাড়াও হওয়া অনেক কীর্তি ও পরিসংখ্যান নিয়ে দৈনিক ইনকিলাবের পাঠকদের জন্য এ আয়োজন।

>> চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১-০ গোলের নিষ্পত্তি হওয়া চতুর্থ ফাইনাল এটি। ১৯৯৮ সালে সবশেষ ইউভেন্তুসকে একই ব্যবধানে হারিয়ে ইউরোপ সেরার মুকুট পরেছিল রিয়াল মাদ্রিদ।

>> দুটি ইউরোপিয়ান কাপের ফাইনাল জয়ীদের তালিকায় নাম উঠল মানুয়েল নয়ার, জেরোমে বোয়াটেং, ডেভিড আলাবা, টমাস মুলার, জাভি মার্তিনেস ও থিয়াগো আলকান্তারার।

>> আট মৌসুমে দুইবার ট্রেবল জয়ের কীর্তি গড়লেন মুলার, নয়্যার, বোয়াটেং, আলাবা এবং মার্তিনেস। ২০১২-১৩ মৌসুমে নিজেদের ইতিহাসে প্রথম ট্রেবল জিতেছিল বায়ার্ন। এই পাঁচ যোদ্ধা ছিলেন ওই সাফল্যেরও সারথী।

>> ২০০২ সালের জিনেদিন জিদানের পর প্রথম ফরাসি খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিযোগিতার ফাইনালে জয়স‚চক গোল করলেন কোমান। আর ফাইনালে গোল করার হিসেবে পঞ্চম ফরাসি খেলোয়াড় তিনি। অন্য তিনজন হলেন বোলি (১৯৯৩), দেসাইলি (১৯৯৪) ও বেনজেমা (২০১৮)।

>> কোমানের এই গোলে শিরোপা জয়ের সঙ্গে আরেকটি দলীয় অর্জনও হয়েছে বায়ার্নের। ইউরোপ সেরার আসরে তৃতীয় দল হিসেবে ৫০০ গোলের মাইলফলক প‚রণ করেছে বুন্দেসলিগার দলটি। অপর দুই দল রিয়াল মাদ্রিদ (৫৬৭টি) ও বার্সেলোনা (৫১৭টি)।

>> প্রথম দল হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এক আসরে সবগুলো ম্যাচ জয়ের রেকর্ড গড়েছে বায়ার্ন। সব প্রতিযোগিতা মিলে টানা ২১ ম্যাচ জিতে মৌসুম শেষ করল তারা।

>> বুন্দেসলিগা, জার্মান কাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মিলিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ট্রেবল জিতেছে বায়ার্ন, ২০১২-১৩ মৌসুমে প্রথম এই কীর্তি গড়েছিল তারা। ঘরোয়া লিগ ও কাপ এবং ইউরোপিয়ান শ্রেষ্টত্ব মিলিয়ে ট্রেবল জয়ের কীর্তি আছে খুব কম দলের। সেল্টিক (১৯৬৭), আয়াক্স (১৯৭২), পিএসভি আইন্দহোভেন (১৯৮৮), ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড (১৯৯৯), বার্সেলোনা (২০০৯ ও ২০১৫) এবং ইন্টার মিলান (২০১০) এই স্বাদ পেয়েছিল।

>> ৩৫ ম্যাচের মধ্যে এই প্রথম ইউরোপের বড় কোনো প্রতিযোগিতায় গোল করতে ব্যর্থ হলো পিএসজি। পরশুর ফাইনালের আগে, ২০১৬ সালের এপ্রিলে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে ১-০ ব্যবধানে হেরে যাওয়া ম্যাচে সবশেষ জালের দেখা পেতে ব্যর্থ হয়েছিল তারা।

>> ইউরোপিয়ান কাপ বা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথমবার ফাইনালে উঠেই বাজিমাত করার কৃতিত্ব সবশেষ দেখিয়েছিল বরুশিয়া ডর্টমুন্ড; ১৯৯৭ সালে জুভেন্টাসকে হারিয়েছিল তারা। এরপর থেকে পিএসজিকে নিয়ে প্রথমবার ফাইনালে উঠে হারের হতাশায় মাঠ ছাড়া দল হলো সাতটি।

>> দুটি ভিন্ন দলের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল খেলা তৃতীয় গোলরক্ষক পিএসজির কেইলর নাভাস। কোস্টা রিকার এই গোলরক্ষক এর আগে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ফাইনাল খেলেছিলেন। দুটি দলের হয়ে ফাইনাল খেলার কীর্তি আছে হানস-জর্জ বাট (বায়ার্ন মিউনিখ ও বেয়ার লেভারকুজেন) এবং এদুইন ফন ডার সারের (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও আয়াক্স)।

>> প্রথম ব্রাজিলিয়ান হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে কোনো দলকে নেতৃত্ব দিলেন পিএসজির থিয়াগো সিলভা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লিসবন-ফাইনাল
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ