মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ট্রাম্পকে সমর্থন না দেয়ার ঘোষণা হার্ভার্ড রিপাবলিকান
ক্লাবের, জরিপে ৮০ শতাংশই তার বিরুদ্ধে
ইনকিলাব ডেস্ক : পরমাণু অস্ত্র থাকলে তা কেন ব্যবহার করা হবে না? এমন বিস্ফোরক মন্তব্যই করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্ব যখন পরমাণু অস্ত্রবিরোধী মানবিক আবেদন নিয়ে সোচ্চার, ঠিক সেই সময় ট্রাম্প বলেছেন উল্টো কথা। উল্লেখ্য, গতকাল ৬ আগস্ট ছিল হিরোশিমা দিবস। এর এক দিন আগে ট্রাম্পের এমন বিস্ফোরক মন্তব্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা বিশ্বে। অনেকেই ট্রাম্পের মন্তব্যকে অপরিণত ও বেপরোয়া হিসেবে নিন্দা করেছেন। গত বুধবার এনবিসি টিভি শোতে প্রকাশিত খবরে জানানো হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার একজন কূটনৈতিক উপদেষ্টাকে প্রশ্ন করেছেন, কেন যুক্তরাষ্ট্র তাদের পরমাণু অস্ত্রসম্ভার ব্যবহার করেনি? টিভি শো মর্নিং জো’র উপস্থাপক জো স্কারবরো আরো দাবি করেন, ট্রাম্প তিনবার এই প্রশ্নও করেছেন যে, যদি আমাদের কাছে পরমাণু অস্ত্রভা-ার থাকে তাহলে আমরা কেন তা ব্যবহার করব না? জো হচ্ছেন ফ্লোরিডার সাবেক রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান। দিনকয়েক আগেই ট্রাম্পের মানসিক স্থিতিশীলতার ব্যাপারে প্রশ্ন তুলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছিলেন, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদের উপযুক্ত নন। ঠিক এর পরদিনই ট্রাম্প পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগের প্রশ্নে যেভাবে জোর দিয়েছেন, তাতে অনেকেই এখন ওবামার বক্তব্যে বিশ্বাস রাখতে শুরু করেছেন। মানসিকভাবে সুস্থ হলে পররাষ্ট্রনীতি এবং পরমাণুনীতি সম্পর্কে এমন শিশুসুলভ মানসিকতা কারো থাকতে পারে না বলে মনে করছেন অনেক রিপাবলিকান।
এই পরিস্থিতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে হার্ভার্ড রিপাবলিকান ক্লাব। গত বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে সমর্থন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে এই সংগঠনটি। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের জন্য ডেনাল্ড ট্রাম্প হুমকিস্বরূপ। তাই দেশকে বাঁচানোর জন্য তার ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয়া হলো। বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, দেশকে বিভক্ত করছেন এই ব্যক্তি। দেশের মানুষের মধ্যে এবং আমাদের সন্তানদের মধ্যে বিষ ঢেলে দিচ্ছেন তিনি। এদিকে, গত বৃহস্পতিবার ক্যালিফোর্নিয়ার একজন জনপ্রতিনিধি একটি অনলাইন পিটিশন দাখিল করে দাবি করেছেন, ট্রাম্পের যাবতীয় লক্ষণ দেখে বোঝা যায় তার মানসিক বিকৃতি রয়েছে। তিনি একজন নারসিসিস্ট পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডারের রোগী। ট্রাম্পকে দেশের পক্ষে বিপজ্জনক আখ্যা দিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহের শুরুতে সংগঠনটির সদস্যরা একটি জরিপ চালিয়েছিলেন। তাতে দেখা যায়, তাদের মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশ ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চান। সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হচ্ছে, এই সংগঠনের ৮০ শতাংশ ভোটারই বলেছেন, তারা ট্রাম্পকে ভোট দেবেন না। ১০ শতাংশ এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেননি বলে জানিয়েছেন। রিপাবলিকান এই ক্লাবটির মতে, ট্রাম্প হচ্ছেন কর্তৃত্ববাদী ও ফ্যাসিস্ট মনোভাবের। তিনি আচরণ দিয়ে এসব বুঝিয়ে দিয়েছেন। আমেরিকার গণতন্ত্রের সঙ্গে যায় না ট্রাম্প। তিনি সাদা-কালোয়, ধর্মীয় পরিচয়ে, জাতিগত পরিচয়ে বিভক্তি সৃষ্টি করেছেন। তিনি দেশকে আতঙ্কের মধ্যে রেখেছেন। তাই ট্রাম্প রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকেই ক্লাবটি তাকে নিয়ে অস্বস্তিতে পড়ে। আর এখন সমর্থনই প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এনডিটিভি, এবিপি, ইনডিয়া টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।