নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বার্সেলোনা ছাড়তে চাচ্ছেন লিওনেল মেসি। এদিকে কাতালান ক্লাবটি প্রকাশ্যে বললেও আসলেই মেসিকে ধরে রাখতে চাইছে কি না এ নিয়ে সন্দেহ জাগছে প্রতিদিন। শিরোপার জন্য লড়াই করতে পারার মতো দল গড়তে ব্যর্থ হওয়া, ক্লাবের নিজস্ব পরিচয় ধরে রাখতে না পারা ও ক্লাবের গোপন খবর ইচ্ছে করে বাইরে ফাঁস করে দেওয়া- বার্সার প্রতি দিন দিন ক্ষোভ বাড়ছে আর্জেন্টাইন তারকার। আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম ‘ক্লারিন’ মনে করছে বার্সার প্রতি মেসির ক্ষোভটা ২০১৭ সালে নেইমার চলে যাওয়ার পর থেকে। বার্সেলোনার সাফল্য ধারাটা নেইমার চলে যাওয়ার পরই শেষ হয়ে যায়। মেসি এরপর থেকেই বিপদের সংকেত দিয়ে আসছিলেন বার্সাকে। ভালো দল বানাও, ঘরে-বাইরে আধিপত্য বাড়াও- এমন লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছিলেন বার্সার পরিচালনা পর্ষদকে। কিন্তু ‘সোনার ডিম পাড়া রাজহাঁস’-এর আর্তি বার্সা সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউ কানে তোলেননি।
গত তিন বছর ধরে মোটামুটি মেসির কাঁধেই সওয়ার হয়েছে বার্সা। কিন্তু লিসবনে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ৮-২ গোলে হারের পর মেসির ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেছে। তাই ২০২১ সালে চুক্তির মেয়াদ শেষ করে নয়, পারলে এখনই বার্সা ছাড়তে চান আর্জেন্টাইন তারকা। এর মধ্যে কোচ পাল্টে রোনাল্ড কোম্যানকে নিয়ে এসেছে বার্সা। নতুন কোচ এসে মেসির সঙ্গে কথা বলেও তেমন সুবিধা করতে পারেননি। দুজনের ব্যক্তিগত আলাপের খবর ফাঁস হয়েছে সংবাদমাধ্যমে। কোচকে মেসি নাকি বলে দিয়েছেন, এখন নিজেকে তার বার্সার বাইরের মানুষ বলে মনে হয়। স্পষ্টতই মেসির ক্ষোভ এতটুকু কমেনি। বরং আরও বেড়েছে। কোচ ও অধিনায়কের এই আলাপচারিতার খবর ফাঁস হওয়ায় ভীষণ খেপেছেন মেসি। বার্সেলোনার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও গত কয়েকদিন মেসিকে নিয়ে এমন কিছু দেখা যাচ্ছে না।
কোম্যান বার্সার নতুন কোচ, মেসি তার দলের অধিনায়ক। স্বাভাবিকভাবেই ক্লাবে আসার পর দলের অধিনায়কের সঙ্গে কথা বলে নেওয়া যেকোনো কোচেরই প্রাথমিক কাজগুলোর একটি। কিন্তু বার্সায় সাম্প্রতিক ঘোলাটে পরিস্থিতি এবং মেসির ক্ষোভ মিলিয়ে কোচ-অধিনায়কের আলাপটা মোটেও সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়নি। কী কী বিষয় নিয়ে আলাপ হয়েছে তা কালই চলে এসেছে সংবাদমাধ্যমে। আর ঠিক এ ব্যাপারটাই মেসির ক্ষোভ আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। কোচ-অধিনায়কের ব্যক্তিগত আলাপের বিস্তারিত বাইরে ফাঁস হলো কীভাবে!
ক্লারিনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্যানের সঙ্গে মেসির আলোচনাকে পুরোপুরি সঠিকভাবে তুলে ধরা হয়নি সংবাদমাধ্যমে। তবে এ নিয়ে মেসির তেমন ক্ষোভ নেই। বার্সার অধিনায়কের ক্ষোভটা মূলত কাতালান রেডিও ‘আরএসিওয়ান’-এর ওপর। তারাই প্রথম কোম্যান-মেসি বৈঠকের খবর ফাঁস করে, এই রেডিও স্টেশন খোলামেলাভাবেই সমর্থন দিয়ে থাকে বার্সায় বার্তোমেউয়ের প্রশাসনকে। এ কাজের অন্তর্নিহিত উদ্দেশেরও ব্যাখ্যা দিয়েছে আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যমটি।
কোম্যান-মেসি আলোচনার বিষয়বস্তু ফাঁস হওয়ার সঙ্গে বার্সা বোর্ডের যোগস‚ত্র রয়েছে বলে মনে করছে তারা। এর পেছনের উদ্দেশ্য নাকি চমকে দেওয়ার মতো। মেসি যদি ক্লাব ছাড়েনই তবে তার ভাবমর্যাদা নষ্ট হলে তো লাভ বার্সা বোর্ডেরই। তার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই বনিবনা হচ্ছে না বার্তোমেউ প্রশাসনের। ক্লাবের বাজে সময়ে চলে যেতে চান কিংবা লড়াই ছেড়ে তিনি ডুবন্ত জাহাজ থেকে লাফ দিয়ে ডাঙায় যেতে চান- মেসির ক্ষেত্রে এমন একটা ভাবমর্যাদা তৈরি করার নাকি চেষ্টা চলছে। অর্থাৎ ক্লাবের ওপর মেসির ক্ষোভকে রাজনীতিকরণের চেষ্টা চালাচ্ছে বার্সা বোর্ড, এমনটাই মনে করছে ক্লারিন।
ভিন্ন মতও আছে। ইএসপিএন লিখেছে, ক্লাব সভাপতি অবশ্য মেসিকে ক্লাবে রাখতে বদ্ধপরিকর। আগামী মৌসুমেই শেষ হতে যাওয়া তার চুক্তি আরও দুবছর বাড়িয়েও নিতে চান।
তার সভাপতিত্বের সময়েই ক্লাবের, তর্কসাপেক্ষে সময়ের ও ফুটবল ইতিহাসেরই সেরা ফুটবলার বার্সেলোনা ছেড়ে গেছেন, এমন পরিচয়ে পরিচিত থাকতে চান না বার্তোমেউ। তবে মেসির চুক্তি নবায়ন নিয়ে আলোচনা আপাতত একেবারেই থেমে আছে। বার্সেলোনা চাইছে, বায়ার্নের কাছে অপমানের পর মেসি যে রেগেছেন, সেই রাগটা কমে যাক। তারপর না হয় সুবিধাজনক সময়ে চুক্তির আলোচনা তুলবে বার্সা। যদি তত দিন মেসি বার্সায় থাকেন আর কী!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।