মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় মুখোমুখি দাঁড়িয়ে চীনা ও ভারত সেনা। পরিস্থিতি বদলে বৃহস্পতিবার দুই দেশের ক‚টনীতিকস্তরের চতুর্থ পর্যায়ের আলোচনা হয়। কিন্তু এ বৈঠক থেকে লাদাখ সমস্যার সমাধানসূত্র মেলেনি। এ বৈঠক শেষে বেজিং জানিয়েছে, দুই দেশের সেনা প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে সদর্থক পর্যালোচনা হয়েছে ও আন্তরিকতার সঙ্গে তা বাস্তবায়ণে দুই দেশই একমত হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেছেন, ‘ভারত-চীন সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে স্পষ্ট ও বিস্তারিতভাবে দুই দেশই তাদের দৃষ্টিভঙ্গি বিনিময় করেছে। তারা নিশ্চিত করেছে যে, দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিশেষ প্রতিনিধির চুক্তির ভিত্তিতে আন্তরিকভাবে উভয় রাষ্ট্রই সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার করবে। এ ক্ষেত্রে তারা বিবদমান সমস্যাগুলো দ্রুত বিদ্যমান চুক্তি এবং প্রোটোকল অনুসারে সমাধান করতে সম্মত হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নে দুই দেশই সীমান্তে শান্তি পুনরুদ্ধার ও স্থিতাবস্থায় রাজি।’ সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহারের লক্ষ্যে ভারত-চীন সেনা ও কূটনীতিক পর্যায়ে নিরবিচ্ছিন্ন আলোচনা চালাবার প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানান শ্রীবাস্তব। নয়াদিল্লি জানিয়েছে, ‘সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহারের লক্ষ্যে দু’তরফই আন্তরিকভাবে নিরবিচ্ছিন্ন প্রয়াস চালিয়ে যাবে।’
মে মাসের শুরু থেকে লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর এলাকায় ভারত-চীন সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়। সীমান্তে একেবারে চোখে চোখ রেখে অবস্থান করে দু’দেশের সেনা। গত ১৫ জুন দু’দেশের সেনার মধ্য়ে সংঘর্ষও বাধে। মৃত্যু হয় ২০ ভারতীয় সেনাকর্মীর। এরপর সীমান্ত সমস্যা মেটাতে দু’দেশের সেনা ও কূটনীতিক পর্যায়ে একাধিকবার বৈঠক হয়। কিন্তু, প্যাংগনের ফিঙ্গার-৪ এলাকা ও গোগরা হট স্প্রিং থেকে সেনা প্রত্যাহার না করার ক্ষেত্রে অনড় চীনা সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার ভারতের তরফে বিবৃতিতে ‘আগ্রগতি’ এবং ‘নিষ্ক্রিয়করণ প্রক্রিয়া’র কথা উল্লেখ করা হয়নি। এছাড়া, ‘দ্রুত ও সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহারের’ ব্য়াপারেও কিছু বলা হয়নি। যা গত তিনটি ভারত-চিন সীমান্ত বিষয়ক পরামর্শ ও সমন্বয় বৈঠক পরবর্তী বিবৃতির থেকে সম্প‚র্ণ পৃথক।
চীন-ভারত সীমান্ত বিষয়ক পরামর্শ ও সমন্বয় বৈঠকে ভারতের হয়ে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (পূর্ব এশিয়া) নবীন শ্রীবাস্তব। বেজিংয়ের হয়ে কথা বলেন চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সীমান্ত ও সমুদ্র বিষয়ক দফতরের ডিরেক্টার জেনারেল হং লিয়াং।
ভারতের চীনা দূতাবাসের তরফে জানানো হয়, ‘সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে দুই দেশের সেনা প্রত্যাহার নিয়ে সদর্থক আলোচনা হয়। পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে সীমান্তের বাস্তব অবস্থা সহ এ সংক্রান্ত নানা বিষয়ে স্পষ্ট ও বিস্তারিত মতামত বিনিময় হয়েছে।’ উল্লেখ্য, সীমান্তের অচলাবস্থা কাটাতে গত সপ্তাহে চীনে ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম মিশ্রি কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশন এবং চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।