Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি রিমান্ডে মিলেছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

যশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে ৩ কিশোর হত্যা

বিশেষ সংবাদদাতা, যশোর থেকে : | প্রকাশের সময় : ২১ আগস্ট, ২০২০, ১২:০৪ এএম

সমাজসেবা অধিদফতর পরিচালিত যশোর শহরতলী পুলেরহাটে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে (বালক) পৈশাচিক নির্যাতনে বন্দি তিন কিশোর হত্যা ও ১৫ বন্দির আহত করার ঘটনায় অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ পরোক্ষ সম্পৃক্ততা, দায়িত্বে অবহেলা ও চরম গাফিলতির তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে সমাজ কল্যাণ অধিদফতরের দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি।
তদন্ত কমিটির প্রধান সমাজসেবা অধিদফতরের পরিচালক (প্রতিষ্ঠান) যুগ্ম সচিব সৈয়দ নুরুল বাসির গতকাল বৃহস্পতিবার মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করে দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ঘটনাটি নিঃসন্দেহে দুর্ভাগ্যজনক। তিনি জানান, ঘটনাটি দুপুরে ঘটলেও জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন কিংবা ডিপার্টমেন্টের কাউকেই অবহিত করা হয়নি। কেন্দ্রের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বা নিরাপত্তার দায়িত্বেসহ অন্য যারা উপস্থিত ছিলেন তারাও তাদের দায়িত্ব ন্যূনতম পালন করেননি। তদন্ত প্রধান আরো বলেন, মূলত ডিপার্টমেন্টের বিষয়টি আমাদের অনুসন্ধানের দায়িত্ব ছিল। ক্রিমিনাল সাইডটি পুলিশ দেখছে, অন্যরাও তদন্ত করছে। যাদের সম্পৃক্ততা আছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমাদের তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছি। তদন্তে পাওয়া তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা কোথাও না ঘটে তার কী কী ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে তারও সুপারিশ রয়েছে। মন্ত্রণালয় গঠিত ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটির নির্ধারিত মেয়াদ পার হওয়ায় তারা বুধবার আরো ৭দিন সময় চেয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আবুল লাইছ জানিয়েছেন, বর্ধিত সময়ের মধ্যেই তদন্ত শেষ করা হবে। হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. রোকিবুজ্জামান জানান, রিমান্ডে কিশোর কেন্দ্রের সহকারি পরিচালকসহ কর্মকর্তারা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। আপাতত তাদের আর রিমান্ডে নেয়া হবে না। তিনি আরো জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার আনিস নামে কেন্দ্রের আরেক বন্দির শ্যোন অ্যারেস্টের আবেদন আদালত মঞ্জুর করেছেন। এর আগে আরও ৭ বন্দিকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে। বর্তমানে এই মামলার মোট আসামি ১৩ জন।
উল্লেখ্য, গত ১৩ আগস্ট যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে বন্দি কিশোরদের রুম থেকে বের করে দফায় দফায় পৈশাচিক নির্যাতন করে তিন কিশোরকে হত্যা ও ১৫ জনকে আহত করা হয়। এ ঘটনায় ১৪ আগস্ট রাতে হত্যার শিকার বন্দি কিশোর পারভেজ হাসান রাব্বির পিতা খুলনার দৌলতপুরের রোকা মিয়া যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে কর্তৃপক্ষকে আসামি করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ