পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই সময়ে ক্লাসের পাশাপাশি সাময়িক, অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। তবে শিক্ষাবর্ষের শেষ প্রান্তে চলে আসায় সমাপনী পরীক্ষাগুলো নিয়ে ভাবতেই হচ্ছে মন্ত্রণালয়, শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের। ক্লাস বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের পড়ার টেবিলে রাখতে না পাড়ায় উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। পরীক্ষা কবে হবে সে সিদ্ধান্ত জানালে তাদেরকে আবারও টেবিলে ফেরানো যাবে বলে মনে করছেন তারা। অন্যদিকে সিলেবাস শেষ না হওয়ায় এবং করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় এখনো সুনির্দিষ্ট কোন সিদ্ধান্ত জানাতে পারছে না শিক্ষার দায়িত্বে থাকা দুই মন্ত্রণালয়। বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয় দুটির গঠিত পৃথক কমিটির প্রস্তাব পর্যালোচনা শেষে পাঠানো হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর কাছে। পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীই নেবেন বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষা বাতিল, নিজ প্রতিষ্ঠানে গ্রহণসহ ৪-৫টি বিকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এসব প্রস্তাবের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী যেটি অনুমোদন দিবেন সেটিই বাস্তবায়ন করবে মন্ত্রণালয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষাটা বিদ্যালয়ে নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছি, আগে এটা কেন্দ্রভিত্তক নেওয়া হত। এটা না করে স্ব স্ব বিদ্যালয়ে, যাতে করে জমায়েতটা বেশি না হয়, আমাদের ছেলেমেয়েরা আক্রান্ত না হয়, এ রকম চিন্তাভাবনা আমরা করছি। নিজ নিজ বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা নেওয়ার পাশাপাশি বিকল্প প্রস্তাবও প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে। চার-পাঁচটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী যেটি অনুমোদন দেন সেভাবে হবে।
বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় সিলেবাস শেষ করা যায়নি জানিয়ে গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, এজন্য আমরা বলেছিলাম প্রয়োজনে হলে আগামী বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে সিলেবাস শেষ করে তখন পরীক্ষা নেওয়ার চিন্তাভাবনা আছে। পাঁচটি প্রস্তাবের মধ্যে এবার প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষা না নেওয়ার প্রস্তাবও রয়েছে বলে একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
অন্যদিকে অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, তাদের গঠিত সিলেবাস প্রণয়ন কমিটি বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছে। সেই প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনা করছে মন্ত্রণালয়। আগামী রোববার বা সোমবার পরীক্ষার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে। তবে সামান্য সুযোগ থাকলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরীক্ষা গ্রহণ করার পক্ষেই বলে জানিয়েছেন একাধিক কর্মকর্তা।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম-আল-হোসেন বলেছেন, মুখ্য সচিবের সঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের তিন সচিবের একটি সভা হয়েছে, সেখানে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ওই সভার প্রেক্ষিতে আমাদের এ বিষয়ে প্রস্তাব পাঠাতে বলা হয়েছে, আমরা সারসংক্ষেপ তৈরি করেছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও সারসংক্ষেপ তৈরি করছে। আগামী রোব-সোমবারের মধ্যে তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। এবার যাতে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী এবং জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা নিতে না হয় সেজন্য এই সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে জানিয়ে সচিব আকরাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলে এবার আর এই পরীক্ষা হবে না। তবে অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
এদিকে করোনার কারণে স্থগিত থাকা এবারের এইচএসসি, আলিম ও সমমানের পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কবে থেকে খোলা যায় তার উপর ভিত্তি করে এইচএসসি পরীক্ষার নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত ১৮ মার্চ থেকে দেশের সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। আগামী ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা আছে, তবে এরপরও স্বাভাবিক ক্লাসে ফেরার পরিবেশ হবে কি না, সে নিশ্চয়তা নেই।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।