মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রিপাবলিকান ভোটার হুইট আইরেস বলেছেন, ‘এমন অনেক লোক আছেন যারা ট্রাম্পকে ভোট দিচ্ছেন, তারা এমন পরিবেশে আছেন যেখানে রাজনৈতিকভাবে স্বীকার করতে সম্মত নন। কারণ তিনি বিষাক্ত হয়ে উঠেছেন।’ তিনি বলেন, ‘তবে আমি এখনও নিশ্চিত নই যে, আপনার ব্যবসায়িক সহযোগী বা আপনার রোটারি ক্লাবের লোকদের বা আপনার দেশীয় ক্লাবের লোকদের না বলাটা এবং কোনও ভোট জরিপকারীকে না বলাটা সমান বিষয়।’ ভোট জরিপকারীদের কাছ থেকে আমেরিকানদের প্রকৃত উদ্দেশ্য গোপন রাখার সম্ভাবনাটি পূর্বের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনগুলোর ক্ষেত্রে চক্রান্ত্রের এক অপ্রতিরোধ্য ধারণা তৈরি করেছে, যদিও এর মধ্যে কয়েকটি তাৎপর্যপূর্ণ উদাহরণ রয়েছে যেখানে তা পার্থক্য তৈরি করেছিল।
২০০৮ সালে বারাক ওবামাকে সমর্থন দেয়া লোকেরা বলতে চাইছিল না যে, তারা তাকে সমর্ধন করে। চার বছর আগে, কেউ কেউ মত দিয়েছিলেন যে, ট্রাম্প সমর্থকদের সাথে কাজ করার ক্ষেত্রেও একই রকম ঘটনা ঘটতে পারে, যারা নিজেদের প্রকাশ করতে খুব বিব্রত হয়েছিলেন। ট্রাম্প যখন কয়েকটি প্রবল প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূর্ণ রাজ্যে বিজয়ী হয়েছিলেন, তখন তার সমর্থকরা যুক্তি দিয়েছিলেন যে, আত্মকেন্দ্রিক ভোটারদের কারণেই নির্বাচনী জরিপগুলো সেই জায়গাগুলোতে ট্রাম্পের শক্তি সম্পর্কে ভুল ধারণা পেয়েছিল। কংগ্রেসনাল রিপাবলিকানদের সাথে কাজ করা নির্বাচন জরিপকারী ডেভিড উইনস্টন বলেছেন, ‘লোকেরা মিথ্যা বলে, এই একটি কৌত‚হলোদ্দীপক তত্ত¡ এবং এটি একেবারেই উড়িয়ে দেয়ার বিষয় নয়। তবে এটা প্রমাণ করার চেষ্টা করা খুব স্পষ্টতই একটি জটিল বিষয়। কারণ আপনি কী করেন? তাদের কি জিজ্ঞাসা করেন যে, আপনি কি মিথ্যা বলছেন?’ জনাব উইনস্টন বলেছিলেন যে, লুকানো ট্রাম্প ভোটারদের সম্পর্কে তত্তে¡র অনেকটাই ব্র্যাডলি প্রভাব হিসাবে পরিচিত তত্তে¡র সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
ব্রাডলি তত্ত্বটি এসেছে লস অ্যাঞ্জেলেসের সাবেক মেয়র টম ব্র্যাডলির নামানুসারে, যিনি ১৯৮২ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর পদে তার সাদা প্রতিদ্ব›দ্বীর চেয়ে নির্বাচনী জরিপে ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে থাকলেও নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন। রাজনীতি বিজ্ঞানীদের মধ্যে, জরিপ এবং নির্বাচনের ফলাফলের মধ্যের সেই ব্যবধানটি ব্যাখ্যা করার জন্য যে তত্ত¡টি উদ্ভ‚ত হয়েছিল তা হ’ল, সাদা ভোটাররা বর্ণবাদী হিসাবে পরিচিত হওয়ার বিষয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন, যদি তারা না বলতেন যে, তারা কৃষ্ণাঙ্গ ব্র্যাডলিকে সমর্থন করেন।
কিন্তু কেউ কেউ ব্র্যাডলি প্রভাবের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, যাদের মধ্যে রয়েছের ব্র্যাডলির অন্যতম প্রাক্তন উপদেষ্টা ব্লেয়ার লেভিন, যিনি যুক্তি দিয়েছিলেন যে, ব্র্যাডলি বিভিন্ন কারণের জটিল সংমিশ্রনে পরাজিত হয়েছিলেন। সেগুলির মধ্যে একটি হ’ল, রিপাবলিকানদের জাঁকালো নির্বাচনী প্রচারণার অনুপস্থিতি এবং ব্যালটের ওপর সশস্ত্র নিয়ন্ত্রণের সমালোচিত উদ্যোগ, উভয়ই বিষয়ই ব্যাপাকভাবে রিপাবলিকান ভোট টানতে উৎসাহিত করেছিল।
উইনস্টন বলেন, ‘ভোটাররা যদি সত্যিই প্রেসিডেন্টের পক্ষে তাদের সমর্থন জানাতে ভয় পান, জরিপের অন্যান্য সংখ্যাও এটিকে প্রতিফলিত করবে, যেমন, মি. বাইডেনের পক্ষে বর্ধিত সমর্থনের শতাংশের চেয়ে সিদ্ধান্তহীন ভোটারদের বর্ধিত শতাংশ প্রভাব ফেলবে। তিনি বলেন, ‘লোকেরা বলছে না যে, তারা বাইডেনকে ভোট দিচ্ছেন। তবে তারা সিদ্ধান্তহীন।’ যদিও লুকানো ট্রাম্প ভোটের প্রভাবের ওপর প্রেসিডেন্টের মিত্রদের মাধ্যমে রঙ চড়ানো হয়েছে, তবে, এর অর্থ এই নয় যে, জরিপে তার কিছু ভোটার অনুপস্থিত, তার কোনও প্রমাণ নেই।
জনমত বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে, তার সমর্থকদের একটি অল্প শতাংশ সম্ভবত গণনার বাইরে রয়েছে এবং অতীতেও ছিল। এবং নর্থ ক্যারোলাইনার মতো রাজ্যে, যেখানে জয়ের ব্যবধানটি সংকীর্ণ হতে পারে, সেখানে জরিপের বাইরে থাকা অনির্ধারিত ভোটগুলি একটি নির্বাচন সঠিক বা ভুল হওয়ার মধ্যে পার্থক্য এঁকে দিতে পারে। ২০১২ সালে মিট রোমনির প্রচারণায় নেতৃত্বদানকারী রিপাবলিকান নীল নিউ হাউস বলেছেন, ‘আমরা ধরে নিয়েছি প্রতিদ্ব›িদ্বতাটি আরও তীব্র হয়ে যাবে এবং এরকম হওয়ার সাথে সাথে লুকিয়ে থাকা ট্রাম্প ভোটগুলো খুব সহজেই খেলাতে ঢুকে পড়বে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।