নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোটর্স রিপোর্টার : দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ জাতীয় হকি দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পেতে গতকাল সকালে ঢাকায় এসেছেন জার্মান কোচ গেরহার্ড পিটার। ঢাকায় আসলেও এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রাত ১০টা) বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের কোন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার সঙ্গে পিটারের সাক্ষাৎ হয়নি। ফলে তিনি রাজধানীর কোথায় অবস্থান করছেন তা পরিষ্কার করে জানাতে পারেননি ফেডারেশন কর্তারা। তবে জানা গেছে, খুব শিঘ্রই পিটারের সঙ্গে চুক্তির বিষয়াদি নিয়ে আলোচনায় বসবেন বাংলাদেশ হকির দায়িত্বশীলরা। যদিও বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সামর্থ্যরে চেয়ে বেশি পারিশ্রমিক চাইছেন এই জার্মান কোচ।
২০০৯ সালে প্রথমবার জাতীয় হকি দলের দায়িত্ব নিতে জার্মানী থেকে ঢাকায় আসেন গেরহার্ড পিটার। তখন মাসিক সাড়ে তিন হাজার মার্কিন ডলার পারিশ্রমিকে তিনি ফেডারেশনের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন। শুরু করেন জিমিদের নিয়ে কাজ। পিটারের প্রশিক্ষণেই ২০১০ ঢাকা এসএ গেমসে ব্রোঞ্জপদক জেতে বাংলাদেশ। এরপর এই জার্মান কোচ জাতীয় দলের দায়িত্ব ছেড়ে দিলেও বাংলাদেশ ছেড়ে যাননি। ওই বছরই কাধে তুলে নেয় ঐতিহ্যবাহী ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব হকি দলের দায়িত্ব। তার দায়িত্বকালে প্রিমিয়ার হকি লিগের শিরোপা ঘরে তুলে মোহামেডান।
লাল-সবুজের দেশে দ্বিতীয় সাফল্য পান পিটার। তবে এখানেই তার সাফল্য থেমে থাকেনি। ছয় বছর পর তৃতীয় সাফল্য পান এই জার্মান কোচ। এবার প্রিমিয়ার লিগে ঢাকা মেরিনার ইয়াংস ক্লাবের হয়ে কোচের দায়িত্ব পালন করে আরামবাগের দলকে এনে দেন প্রথম শিরোপা। মেরিনারের সাফল্যে গেরহার্ডের মূল্য যেন বেড়ে যায়। জাতীয় হকি দলের কোচের তালিকায় তিনি দ্বিতীয় পছন্দের হলেও নেদাল্যান্ডসের কোচ জাইলস বনেটের বাংলাদেশে নিরাপত্তাহীনতার অযুহাত দেখিয়ে ঢাকায় না আসার হুমকিতে কপাল খুলে এই জার্মানের। বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচ হতে ফেডারেশন থেকে প্রস্তাব পান তিনি। সুযোগ বুঝে চড়া দামও হাঁকান পিটার। বিশ্বস্ত সুত্র জানায়, সাত বছর আগে যে পারিশ্রমিকে জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেন পিটার, এবার তারচেয়ে দ্বিগুনেরও বেশি দাম হাকাচ্ছেন তিনি। হকি ফেডারেশনের এক কর্মকর্তা জানান, পিটারের এবারের চাহিদা মাসিক আট হাজার ডলার। যা একটু বেশিই। যদিও জাতীয় দলের বিদেশী কোচের অর্থায়ন করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তারা কোচ বাবদ মাসিক ১৫ হাজার ডলার দিচ্ছে হকি ফেডারেশনকে। তারপরও গেরহার্ডের চাহিদা বেশি মনে হচ্ছে ফেডারেশনের। কারণ বিসিবির দেয়া অর্থ থেকেই খরচ করতে হবে কোচের থাকা-খাওয়া, পরিবহন এবং দেশে আসা-যাওয়ার বিমান ভাড়া। তাই ফেডারেশন চাচ্ছে পিটারের পারিশ্রমিক কিছুটা কমাতে। তার চাহিদা কিছুটা কমলে পিটারই নিয়োগ পাবেন জাতীয় হকি দলের প্রধান কোচ হিসেবে। এ বিষয়ে হকি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি খাজা রহমতউল্লাহ বলেন, ‘পিটার ঢাকায় এসেছেন এটা আমি শুনেছি। যদিও এখনো আমার সঙ্গে তার কোন যোগাযোগ হয়নি। ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা পিটারের হাতে জাতীয় দলের দায়িত্ব তুলে দিতে প্রস্তুত রয়েছি। তার সঙ্গে চুক্তি বিষয়ক কিছু আলোচনা করা প্রয়োজন। যেটা করতে অচিরেই আমরা পিটারের সঙ্গে বসবো। কিন্তু তার আগে ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটি নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।’
এদিকে পিটার মুখিয়ে আছেন বাংলাদেশ হকির দায়িত্ব নিতে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতি আমার কিছুটা দুর্বলতা রয়েছে। এদেশকে আমি দ্বিতীয় হোম মনে করি। তাই পারিশ্রমিক নিয়ে আমার মনে হয় না তেমন ঝামেলা হবে। তবে ফেডারেশনকে এটাও ভাবতে হবে, সাত বছর আগের এখনকার আর্থ-সামাজিক অবস্থার সঙ্গে এখনকার তুলনা চলে না।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।