মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সম্প্রতিক জরিপগুলোতে দেখা যাচ্ছে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে অন্তত ১০ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছেন। দেশটির গণমাধ্যমগুলো তাদের বিভিন্ন জরিপেও জো বাইডেনের জয়ের পূর্বাভাস দিচ্ছে। তবে ট্রাম্প শিবির রয়েছে স্বস্তিতে। তারা ৪ বছর পেছনের দৃষ্টান্ত মনে করে মন খারাপ করতে নারাজ। হিলারি ক্লিন্টনের পক্ষে জরিপ ও মিডিয়ায় জয়জয়কার থাকলেও জয়ের মালা পরেন পেছনে থাকা ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবারও সে ধরনের কিছু আশা করে আছে ট্রাম্প শিবির। তাদের বক্তব্য, নির্বাচন যত কাছে আসবে, ট্রাম্প সমর্থকরা খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসে ঠিকই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভোট দেবেন। এ প্রসঙ্গে নিউ ইয়ক টাইমস ‘হিডেন ট্রাম্প ভোটার এক্সিস্ট. বাট হাউ মাচ ইম্প্যাক্ট উইল দে হ্যাভ’ শিরোনামে জেরেমি ডবিøউ পিটার্সের প্রতিবেদনের প্রথম পর্ব আজ ইনকিলাব পাঠকদের জন্য পরিবেশন করা হ’লঃ
একটি পতাকা সাধারণত জনগণের বড় সমর্থনের জন্য সর্বাধিক সুস্পষ্ট জায়গা নয়। তবে সেখানে একটি গ্যারেজের অভ্যন্তর প্রাচীর থেকে সাদা ‘ট্রাম্প ২০২০’ লেখাগুলো শহরতলির শার্লোটের রাস্তায় সবেমাত্র সাঁটানো হয়েছে। সামনের বারান্দা থেকে বাড়িতে অবস্থানরত মা টিফনি ব্লিথ বলছিলেন, তিনি এবং তার পরিচিত অনেকেই নভেম্বরে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে ভোট দেবেন - তবে তাদের অনেকেই এ নিয়ে দ্বিধান্বিত। আর কেন সেই দ্বিধা? মি. ট্রাম্প এবং উত্তর ক্যারোলিনা ও এর বাইরে অন্যান্য রিপাবলিকানদের যে পতনের পূর্বাভাস দেয়া হচ্ছে এমন পোলগুলিতে মিসেস বিøথের বিশ্বাস নেই।
মিসেস ব্লিথ বলছিলেন, ‘আমি এটি কিনছি না। প্রচুর নীরব ভোটার রয়েছে এবং নির্বাচনের আগে আরও কিছু বেরিয়ে আসবে। আমি মনে করি অনেক রাজ্য নীল থেকে লাল হয়ে যাচ্ছে, তবে আপনি মিডিয়াতে সেকথা শুনবেন না। মি. ট্রাম্পের পুনরায় নির্বাচনের সম্ভাবনার সত্য কাহিনী আমেরিকানরা বুঝতে পারে না এ বিশ্বাস তার অনেক সমর্থকের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। ট্রাম্পের অনুগতদের পক্ষে এটি একটি আকর্ষণীয় গল্প এবং এর কিছুটা বৈধতা রয়েছে: ২০১৬ সালে মি. ট্রাম্পের জয়ের প্রত্যাশা করতে মিডিয়া ব্যর্থ হয়েছিল, তার ভোটারদের অবমূল্যায়ন করেছিল এবং অনেকেই আজ চার বছর আগের তুলনায় বেশি দ্বিধাদ্ব›দ্ব প্রকাশ করছেন।
মি. ট্রাম্প এ যুক্তিটি প্রায়শই করেন; শনিবার সন্ধ্যায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের নীরব সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে, যতটা রয়েছে তা কেউ কখনও দেখেনি’। তার এক সমীক্ষক জন ম্যাক লাফ্লিন ভবিষ্যদ্বাণী করেন যে, ‘ট্রাম্পের হিডেন ভোটার’ গণমাধ্যমকে ভুল প্রমাণ করবে।
রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটরা প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করা ভোটাররা বলেছেন যে, নির্বাচনের দিনে বিপুল সংখ্যক ট্রাম্প ভোটার যে ধারণাটি গোপন রেখে বেরিয়ে আসবেন, তার ধারণা সর্বশেষ জনমত গবেষণা বা বিগত নির্বাচনে যেখানে ভোটার জরিপ বন্ধ ছিল তাতে কী ঘটেছিল তার সঠিক ধারণা দ্বারা সমর্থিত নয়।
এর অর্থ এই নয় যে, সা¤প্রতিক জাতীয় জরিপগুলো জো বাইডেনের নেতৃত্ব তাকে ১০ পয়েন্টে এগিয়ে রেখেছে, তা সঙ্কুচিত হবে না এবং জনমত বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্রমবর্ধমান প্রমাণ রয়েছে যে, স্পেকট্রাম জুড়ে আমেরিকানরা তাদের রাজনৈতিক পছন্দগুলো সমমনা লোকদের বিশ্বস্ত গোষ্ঠীর বাইরে ভাগ করে নেয়ার বিষয়ে আরও ভীত হয়ে উঠেছে। তবে দেশটির উত্তেজনাপূর্ণ রাজনৈতিক গতিশীলতা জনগণকে মি. ট্রাম্পের দুর্বল অবস্থান ব্যাখ্যা করার জন্য প্রচুর পরিমাণে ভোটারদের কাছে মিথ্যা কথা বলছে তা এ সিদ্ধান্তে নেয়ার পক্ষে একটি বিশাল পদক্ষেপ হবে। সূত্র : দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।