গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
বাংলাদেশের সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দিয়ে তদস্থলে ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠা ও ইসলামী চেতনাবোধ ধ্বংসের চক্রান্তের প্রতিবাদে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে পল্টনস্থ দলীয় কার্যালয়ে এক জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) দলের সহ সভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- মহাসচিব আল্লামা নূর হোছাইন কাসেমী, সহসভাপতি মাওলানা জহিরুল হক ভূঁইয়া, মাওলানা জুনায়েদ আল-হাবীব, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী, প্রচার সম্পাদক মাওলানা জয়নুল আবেদীন, দাওয়া বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা লোকমান মাজহারী, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা জিয়াউল হক কাসেমী,কেন্দ্রীয় সদস্য মাওলানা মাহবুবুল আলম, মাওলানা নুর মুহাম্মদ, মাওলানা মুনির আহমদ, মাওলানা ছিদ্দিকুল ইসলাম তোফায়েল প্রমুখ।
বৈঠক নেতৃবৃন্দ বলেন, ৯২ ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশের সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেওয়ার কোনরূপ চক্রান্ত বরদাশত করা হবে না। বৃটিশ ভারত থেকে এ অঞ্চল স্বাধীন হয়েছিল মুসলিম পরিচিতি ও ইসলামী চেতনাবোধকে সমুন্নত রাখার মহান লক্ষ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে। সে হিসাবে এ দেশে কেবল রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নয়, বরং ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠত হয়াই যুক্তিযুক্ত।
তারা আরো বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে দেশ স্বাধীন করা হয়েছে অর্থনৈতিক শোষণ-বৈষম্য ও জুলম-নির্যাতন থেকে মুক্তিলাভের জন্য। ধর্ম নিরপেক্ষতাবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য নয়। সুতরাং ইসলামবিরোধী যেকোন চক্রান্ত রুখে দাঁড়াতে জনগণ পিছপা হবে না।
তারা আরো বলেন, ইসলাম সহনশীল, শান্তি, সম্প্রীতি ও মানবতার ধর্ম। অন্যান্য সকল ধর্মাবলম্বীর নাগরিক, সুবিচার ও ইনসাফ পাওয়ার অধীকারকে ইসলাম সবসময় স্বীকার করে।
বৈঠকে বুধবার (১৯ আগস্ট) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেওয়ার চক্রান্তের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।