পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুব শিগগিরই দেশের সব কওমি মাদরাসা খোলার বিষয়ে আশ্বাস পেয়েছেন কওমি আলেমরা। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে বৈঠকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তারা। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা ও পরামর্শ করে তার মতামতের ভিত্তিতে দেশের কওমি মাদরাসাগুলো খুলে দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
শিগগিরই কিতাব বিভাগের কার্যক্রম চালু ও পরীক্ষা নেয়ার সুযোগ করে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন জানিয়েছে কওমি মাদরাসাগুলো। জাতীয় দ্বীনি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের সহ-সভাপতি ড. মাওলানা মুশতাক আহমদ ও মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ এবং বোর্ডের মহাসচিব মুফতি মোহাম্মদ আলীসহ কওমি আলেমদের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কওমি মাদরাসার কিতাব বিভাগ চালুর বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে কর্মপরিকল্পনার কথা জানাতে এসেছিলেন আলেমরা। সরকারের পক্ষে আমি তাদের আশ্বস্ত করে বলেছি, অতি অল্প সময়ের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রতিনিধি দলের প্রধান জাতীয় দ্বীনি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের সহ-সভাপতি ড. মাওলানা মুশতাক আহমদ বলেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে সৌহাদ্যপূর্ণভাবে মিটিং হয়েছে। আমাদের আবেদন, কিতাবখানার সবক ও পরীক্ষা চালু করার পদ্ধতি বিষয়ক প্রস্তাবনা খুব পছন্দ করেছেন। আজই তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে কওমি মাদরাসা সম্পূণরুপে খোলার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানোর আশ্বাস দিয়েছেন।
মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে কওমি মাদরাসা বন্ধ ছিল, মাদরাসা খোলার ব্যাপারে জাতীয় দ্বীনি মাদরাসা বোর্ডের পক্ষ থেকে আমরা গত ২ জুলাই আবেদন করেছিলাম। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মাধ্যমে আমাদের জানান, ১২ জুলাই থেকে হিফজ বিভাগ চালু হবে। ওই আবেদনের মধ্যে কিতাব বিভাগ চালু করারও অনুমতিও চাওয়া হয়েছে। এটা যেহেতু তখন হয়নি। এজন্য আমরা আবার যোগাযোগ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর আবার একটা আবেদন পাঠালাম। তিনি বলেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব আবেদনটি আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেছেন। উনি আমাদেরকে বলেছেন, আমি খুব দ্রুত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত মেসেজ দেয়ার চেষ্টা করবো।
করোনা মহামারীর কারণে দেশের প্রায় ২২ হাজার কওমি মাদরাসার ২৫ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী গত শিক্ষাবর্ষের বার্ষিক পরীক্ষা দিতে পারেনি। ঈদুল ফিতরের পর কওমি মাদরাসা গুলোর নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হলেও করোনার কারণে তা স্থগিত রাখা হয়। এর আগে দেশের সব হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও হিফজখানা ১২ জুলাই থেকে চালুর অনুমতি দিয়েছে সরকার। গত ৮ জুলাই ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেখানে বলা হয়, এসব মাদ্রাসাকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো হাফিজিয়া মাদরাসা ও হিফজখানার কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে যায়। এসব মাদরাসার নিরবচ্ছিন্ন অধ্যবসায়ের আবশ্যকতার কথা উল্লেখ করে কার্যক্রম চালুর বিষয়ে দেশের আলেমরা আবেদন করেন।সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সব হাফিজিয়া মাদরাসা হিফজখানা খোলার অনুমোদন দেয়া হয়। এরও আগে ১ জুন দেশের কওমি মাদরাসায় ছাত্রছাত্রী ভর্তির কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে অফিস খোলার অনুমতি দেয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।