মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতে ক্ষমতাসীন কট্টর হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপিকে ‘ভয়’ পায় ফেসবুক। সে ‘ভয়’ এতটাই যে, বিজেপির কেউ সহিংসতায় উস্কানি বা বিদ্বেষমূলক বক্তব্যে দিলেও তার বিরুদ্ধে সংস্থার নীতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয় না। প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদন থেকে ফেসবুকের বিজেপি-ভীতির বিষয়টি জানা গিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে ‘বিদ্বেষ রোধ আইন’ প্রয়োগে বাধা দিয়েছিলেন ভারতে ফেসবুকের পাবলিক পলিসি এক্সিকিউটিভ আঁখি দাস। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, আঁখি দাস সংস্থার কর্মীদের বলেছিলেন, বিজেপি নেতাদের আইনভঙ্গকারী হিসেবে শাস্তি দিলে ভারতে ফেসবুকের ব্যবসায়িক ক্ষতি হতে পারে। এই সংক্রান্ত একটি উদাহরণ তুলে ধরে সংবাদপত্রটিতে দাবি করা হয়েছে, সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে হিংসায় মদত দিতে ফেসবুকে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করেছিলেন তেলঙ্গানার বিজেপি বিধায়ক টি রাজা সিংহ। সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক বক্তব্যের জন্য একাধিক বার বিতর্কে জড়িয়েছেন এই বিজেপি নেতা। প্রতিবেদন অনুযায়ী, টি রাজাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার জন্য সুপারিশ করেছিলেন ফেসবুকের কর্মীরা। ‘বিপজ্জনক ব্যক্তি এবং সংস্থা’ নীতির ভিত্তিতেই এই সুপারিশ করা হয়েছিল। ফেসবুকের বর্তমান ও সাবেক কর্মীদের বক্তব্য অনুযায়ী, কিন্তু তাদের সংস্থার ভারতীয় শাখার পাবলিক পলিসি ডিরেক্টর আঁখি দাসের হস্তক্ষেপেই ওই বিধায়কের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। সংস্থার কর্মীদের আঁখি স্পষ্ট বলে দেন, বিজেপি নেতাদের আইনভঙ্গকারী হিসেবে শাস্তি দিলে ভারতে ফেসবুকের ব্যবসায়িক ক্ষতি হতে পারে। টি রাজা সিংহের মতোই উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখার অভিযোগ উঠেছে কপিল মিশ্র, অনন্ত হেগড়ে-সহ একাধিক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধেও। একই ভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ, লাভ জিহাদ-সহ একাধিক বিষয় টেনে বিজেপি এবং আরএসএসের সংগঠনগুলি এ দেশে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার করলেও তা নিয়ে পদক্ষেপ না করার অভিযোগ উঠেছে ফেসবুকের বিরুদ্ধে। এই সমস্ত ঘটনাকে বিজেপি এবং উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির প্রতি ফেসবুকের ‘পক্ষপাতমূলক পদক্ষেপ’ বলে আঙুল তুলেছে মার্কিন সংবাদপত্রটি। বিদ্বেষ ও হিংসার বিরুদ্ধে কড়া নীতির কথা জানালেও সেই নীতি প্রয়োগের ক্ষেত্রে কিছু খামতি রয়েছে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন ফেসবুক মুখপাত্র। তার কথায়, ‘তবে আমাদের আরও কিছু ব্যবস্থা নিতে হবে। সেটা আমরা জানি এবং সেই মতো পর্যালোচনার কাজও চলছে। নিরপেক্ষ এবং ত্রু টিহীন ব্যবস্থা গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।’ মার্কিন সংবাদপত্রের প্রতিবেদনের জেরে ইতিমধ্যেই বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে কংগ্রেস-সহ বিরোধী শিবির। অভিযোগের তদন্তের জন্য যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়ারও দাবি উঠেছে। তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ইঙ্গিত দিয়েছে, মার্কিন সংবাদপত্র ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে ফেসবুকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হতে পারে। সূত্র : বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।